Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
দু’দেশের দুই ধুরন্ধর প্রাক্তন অধিনায়কের সিডনি ভাবনা

এবিদের মতো ক্যাচ ফেলে দিও না ক্লার্ক

খুব, খুব ক্লোজ— বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালটা তেমনই ছিল। সিডনিতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালও সে রকম হবে। তার আগে এখনই বলে দিচ্ছি, এসসিজি ভারতের জন্য ঘরের মাঠের মতো হবে। প্রচুর ভারতীয় শহরে ঢুকে পড়েছেন। স্বামী আর্মি এবং তাদের সাঙ্গপাঙ্গ যে মাঠ ভরিয়ে দেবে, তা নিয়ে আমি নিশ্চিত। সিডনির পিচ কেমন হবে, সেটা নিয়ে চিন্তা আর কৌতূহল তৈরি হচ্ছে।

স্টিভ ওয়
শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৫ ০৫:২৭
Share: Save:

খুব, খুব ক্লোজ— বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালটা তেমনই ছিল। সিডনিতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালও সে রকম হবে। তার আগে এখনই বলে দিচ্ছি, এসসিজি ভারতের জন্য ঘরের মাঠের মতো হবে। প্রচুর ভারতীয় শহরে ঢুকে পড়েছেন। স্বামী আর্মি এবং তাদের সাঙ্গপাঙ্গ যে মাঠ ভরিয়ে দেবে, তা নিয়ে আমি নিশ্চিত।

সিডনির পিচ কেমন হবে, সেটা নিয়ে চিন্তা আর কৌতূহল তৈরি হচ্ছে। এই মাঠে টুর্নামেন্টের আগের ম্যাচ থেকে যা বুঝেছি, তাতে উইকেটে ভাল বাউন্স আর ক্যারি ছিল। আজও সেটা হলে তাতে অস্ট্রেলিয়ারই সুবিধে হবে। তবে পিচ স্লো হয়ে গিয়ে থাকলে স্পিনাররা সাহায্য পাবে। তা হলে ভারত স্বপ্ন দেখতেই পারে।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ধোনি আর ওর টিমের উৎসাহ পাওয়া উচিত। ওই ম্যাচের কিছু মুহূর্তে পাক পেসাররা অস্ট্রেলিয়াকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল। শেন ওয়াটসনের ক্যাচটা যদি প্রথমেই ওরা নিয়ে নিত, তা হলে ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারত। এই বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা স্পেল ছিল ওয়াহাব রিয়াজের সে দিনের বোলিং। যেটা দেখিয়ে দিয়েছিল, অসাধারণ আর আগ্রাসী পেস বোলিং সব সময়ই ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলে। তবে ওয়াটসন যে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকল, তার জন্য ওকে পুরো নম্বর দেব। যা সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে সেটার সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার যারা করতে পারে, তারাই আসল চ্যাম্পিয়ন। ওয়াটসন সে দিন ঠিক সেটাই করল।

অস্ট্রেলীয় বোলারদের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের গ্রীষ্মটা বেশ কঠিন ছিল। তবে এই সেমিফাইনালের উপর তার প্রভাব পড়বে কি না সন্দেহ। অবশ্য মনে হচ্ছে দ্রুত কয়েকটা উইকেট তুলে নিতে পারলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সেটা মনে করিয়ে দেবে কয়েক জন ফিল্ডার। যদিও ও সব করে এই তাজা, অদম্য ভারতীয় টিমকে চিন্তায় ফেলা যাবে বলে মনে হয় না। ধোনিরা যে সত্যিই দুর্দান্ত ছন্দে আছে।

অস্ট্রেলিয়াও জানে, গ্রীষ্মের প্রাপ্তি আজকের সেমিফাইনালের প্রেক্ষিতে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেটা জরুরি সেটা হল, ওদের পেস লাইন আপের ছন্দ। বিশ্বকাপে মিচেল স্টার্ক আর নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট অসাধারণ বল করছে। নিঃসন্দেহে ওরা এ বারের সেরা দুই পেসার। স্টার্ক দুর্দম গতিতে যে বলটা সুইং করাতে পারছে, সেটাই কিন্তু অস্ট্রেলীয় অভিযানের হলমার্ক।

দু’দলের ব্যাটিং সমান ভাল। আর ফর্মে থাকা দু’দেশের বোলিংয়েও খুব একটা পার্থক্য নেই।

যে ব্যাপারটা নির্ণায়ক হয়ে যেতে পারে সেটা হল ফিল্ডিং। যে সব ম্যাচে এক রকম ছন্দে থাকা সমান ক্ষমতার দুটো টিম লড়ে, সেখানে বেশির ভাগ সময়ই ফিল্ডিং তফাত গড়ে দেয়। মঙ্গলবার সেমিফাইনালে যেমন জরুরি বেশ কিছু মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডিং ওদের ডুবিয়ে দিল। ম্যাচটা দেখে আমার ১৯৯৯ সেমিফাইনালের কথা মনে পড়ছিল। বৃষ্টিটাও ওদের ডুবিয়ে দিল। তবে ক্যাচগুলো ধরতে পারলে আর রান আউটগুলো করতে পারলে এ সব কথা সবাই ভুলে যেত। এত কথা বলছি কারণ এই শিক্ষাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আজ সেমিফাইনালে নামার আগে যে শিক্ষাটা ভারত-অস্ট্রেলিয়া দু’দলেরই মাথায় রাখা উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE