ম্যাচ জিতে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উচ্ছ্বাস।-নিজস্ব চিত্র।
জয়ের ধারা অব্যহত রাখল ইস্টবেঙ্গল। বৃহস্পতিবার নিজেদের ঘরের মাঠে লিগের অন্যতম কঠিন প্রতিপক্ষ পাঠচক্রকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল।
এ দিন ম্যাচের প্রথম থেকেই আক্রমণ প্রতি আক্রমণে ম্যাচ জমে ওঠে। ধারে ও ভারে ইস্টবেঙ্গলের থেকে পিছিয়ে থাকলেও ম্যাচে সমানে সমানে লড়াই চালায় পাঠচক্রের তরুণ দল। এ দিন পরতে পরতে রং বদলায় গোটা ম্যাচ। প্রথমার্ধের ৪১ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোলটি আসে পাঠচক্রের জগন্নাথ ওঁরাওয়ের পা থেকে। জোয়েলের থেকে পাওয়া লুজ বল জালে জড়াতে ভুল করেননি এই তরুণ স্ট্রাইকার।
আরও পড়ুন: টসে হারা বিরাটকেই সিদ্ধান্ত নিতে বললেন ঘোষক! দেখুন ভিডিও
আরও পড়ুন: যে যে কারণে টি ২০ ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া উচিত ধোনির
তবে, প্রথমার্ধে গোল হজম করলেও পিছিয়ে পড়েনি লাল-হলুদ ব্রিগেড। ময়দানে বহু প্রচলিত একটি প্রবাদ আছে, পিছিয়ে পড়া ইস্টবেঙ্গল আর খোঁচা খাওয়া বাঘ দু’জনই সমান বিপজ্জ্বনক। সেই প্রবাদকেই ফের এক বার প্রমাণ করে দিলেন লাল-হলুদের তরুণ ফুটবলাররা। দ্বিতীয়ার্ধের সংযুক্তি সময় জিরো ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল থেকে বাঁ পায়ের দুর্ধর্ষ শটে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে সমতায় ফেরান ব্র্যান্ডন। প্রথমার্ধ শেষে খেলার ফল ছিল ১-১।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু হতেই ফের এক বার সমেজাজে পাওয়া যায় ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের। প্রথমার্ধে প্রতি আক্রমণে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ডিফেন্সিভ খেলতে থাকে পার্থ সেনের পাঠচক্র। যার ফলে বার বার মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ চলে আসছিল আল আমনা-সুরাবদ্দিনদের হাতে। ফলে, আক্রমণের ঝাঁঝ প্রথমার্ধের থেকেও বেশি ছিল লাল-হলুদের খেলায়। যার ফল সরূপ সিরিয়ান মিডফিল্ডার আমনাকে রুখতে গিয়ে বক্সের মধ্য ফাউল করে বসেন জুয়েল। পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের অন্তিম লগ্নে পাওয়া পেনাল্টিই এক মাত্র ভরসা ছিল ইস্টবেঙ্গলের জয়ে। যার ফলে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজার হাজার লাল-হলুদ জনতার চোখ ছিল পেনাল্টি স্পটের দিকে। তবে সমর্থকদের হতাশ করেননি আমনা। পেনাল্টি থেকে গোল করে বহু কাঙ্খিত জয়টি এনে দেন ইস্টবেঙ্গলকে।
এ দিন পাঠাচক্রকে হারানোর ফলে ৬ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট হল ১৮। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের পয়েন্ট ১৬।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy