আগামী সপ্তাহেই ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলন শুরু করে দেবেন খালিদ জামিল।
মরসুমের মাঝপথে পেশির চোট-আঘাত ইস্টবেঙ্গলকে যেন সমস্যায় না ফেলে সেটা অনুশীলনের প্রথম দিন থেকেই নিশ্চিত করতে চান কোচ খালিদ জামিল। মঙ্গলবার কলকাতায় এসে এ কথাই জানিয়ে দিলেন লাল-হলুদ শিবিরের এই নতুন কোচ।
খালিদের কথায়, ‘‘কলকাতা লিগে চ্যালেঞ্জটা অনেক বেশি। কারণ জলকাদার মাঠে ঠিক মতো প্রস্তুতি নিয়ে না নামলে ফুটবলারদের চোট-আঘাত বাড়বেই। সেটা একমাত্র বন্ধ হতে পারে প্রস্তুতি শিবিরে কঠোর অনুশীলনে। আর তা ঠিকঠাক করার জায়গা প্রাক মরসুম প্রস্তুতি শিবির। সেটা নিষ্ঠার সঙ্গে করা গেলে চোট-আঘাত গোটা মরসুম জুড়েই আমাদের শিবির থেকে অনেক দূরে থাকবে।’’
আর সেই প্রস্তুতি শিবিরের জায়গা দেখতে বুধবার সকালেই কল্যাণী যাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ। মাঠ ছাড়াও জিম ও সুইমিং পুলও দেখার কথা তাঁর। অতীতে কল্যাণীতে প্রাক মরসুম শিবির করে সফল হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তবে এ দিন ইস্টবেঙ্গল মাঠও ঘুরে দেখেন মুম্বইকর এই কোচ। বর্ষার ইস্টবেঙ্গল মাঠ নিয়ে অতীতে লাল-হলুদের প্রাক্তন কোচরা নানা প্রশ্ন তুললেও এ দিন খালিদকে সন্তুষ্টই দেখিয়েছে ইস্টবেঙ্গল মাঠ নিয়ে।
আরও পড়ুন: গ্যারির ক্লাস, ফিটনেস প্যাকেজ সঙ্গী রায়নার
খালিদ এ দিন একই সঙ্গে জানিয়ে দেন, আগামী সপ্তাহেই ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলন শুরু করে দেবেন তিনি। যদিও তার দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি লাল-হলুদ শিবিরে। তার আগেই মুম্বই থেকে খালিদের পরিবারেরও কলকাতায় চলে আসার কথা।
তৃতীয় বিদেশি নিয়েও এ দিন কর্তাদের সঙ্গে এক প্রস্ত কথাবার্তা হয়েছে খালিদের। পরে প্রচারমাধ্যমের সামনে খালিদ বলে যান, ‘‘জয়েশ রানে, আশুতোষ মেহতা-সহ দেশি-বিদেশি বেশ কয়েকজন ফুটবলারের সঙ্গে কথা চলছে। চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না।’’
এ দিন সকালেই কলকাতায় পৌঁছে সরাসরি ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে চলে আসেন তিনি। ক্লান্তির কারণে ড্রেসিংরুমেই বেশ কিছুক্ষণ জিরিয়ে নেন তিনি। বিকেলে ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, সহকারী কোচ রঞ্জন চৌধুরী-সহ ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে ড্রেসিংরুমে লম্বা বৈঠক চলে ইস্টবেঙ্গল কোচের। সেখানেই প্রাক্ মরসুম শিবিরের নীল নকশা এবং দল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy