তিন বছর কোচিং করিয়ে আই লিগ দিতে পারেননি ট্রেভর জেমস মর্গ্যান। তবে দু’ দুবার ফেডারেশন কাপ জিতেছেন। এ বারও নতুন ফরম্যাটে হলেও ব্রিটিশ কোচ তাঁদের ফেড কাপ জেতাবেন, আশায় লাল-হলুদ কর্তারা।
কিন্তু সোমবার সূচি চূড়ান্ত হওয়ার পর লাল-হলুদ শিবিরে চিন্তার চোরাস্রোত। কারণ যে দলের বিরুদ্ধে আই লিগের শেষ ম্যাচ হেরেছেন র্যান্টি-মেহতাব হোসেনরা তাদের সঙ্গেই যে ফেড কাপের প্রথম ম্যাচ। শিলংয়ে গত রবিবার হারলেও পরের রবিবার নতুন টুর্নামেন্টে চাকা উল্টো দিকে ঘুরবে, আশায় রয়েছেন মর্গ্যান। শিলং থেকে শহরে ফিরে এ দিন বেলোদের কোচ বলে দিলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি ইস্টবেঙ্গলের যা টিম, তাতে ফেড কাপ জেতার সম্ভাবনা আমাদের একশো শতাংশই আছে। তবে সেটার জন্য সবাইকে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে।’’
শিলংয়ের বিরুদ্ধে আই লিগের দু’টি ম্যাচই জেতেনি ইস্টবেঙ্গল। ঘরের মাঠেও ড্র হয়েছিল খেলা। বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের জুতোয় পা গলানো ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ অবশ্য দু’টো টুনার্মেন্টকে এক করে দেখতে রাজি নন। মর্গ্যান বলছিলেন, ‘‘দু’টি পুরো আলাদা টুর্নামেন্ট। লাজং ভাল টিম। ওরা ভাল খেলেছে। তা বলে ফেড কাপেও যে ওরা আমাদের আটকে দেবে, এটা ভেবে ফেলার কোনও কারণ নেই।’’ কথাগুলো বলার সময় বেশ আত্মবিশ্বাসী শোনাল ব্রিটিশ কোচের গলা।
কলকাতা লিগে জয় দিয়ে শুরু করেছিল যে টিমটা। একটা সময়ে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে ছিল। হঠাৎ করে টিমের এমন হাল হল কেন? প্রশ্ন শুনে কোনও বিতর্কে অবশ্য ঢুকতে চাননি মর্গ্যান। তাঁর যুক্তি, ‘‘আগের ম্যাচগুলো সম্পর্কে আমার কোনও ধারণা নেই। এমনিতে তো টিমের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। আমি রবিবার মাঠে বসে ইস্টবেঙ্গল-লাজং ম্যাচ পুরোটাই দেখলাম। আমার মনে হয়েছে, ফুটবলারদের কোথাও মনোসংযোগের সমস্যা হচ্ছে। সে জন্যই ওরা ছোট ছোট ভুল করে ফেলছে। এবং যা থেকে গোল খাচ্ছে। অথবা গোল মিস করছে।’’ এই সমস্যা কাটানোর উপায় কী? ভুল শুধরানোর জন্য তো হাতে এক সপ্তাহেরও কম সময়? ‘‘ফুটবলারদের কোথায় সমস্যা হচ্ছে সেটা আগে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। সেটা বুঝে আমাকে ওষুধও তৈরি করতে হবে। মানে ঠিক করতে হবে স্ট্র্যাটেজি। আমি সব সময় ওদের নানা ভাবে উদ্বুদ্ধ করে থাকি। এ বার আই লিগের কথা ভুলে নতুন করে লড়াইয়ের জন্য তৈরি হতে হবে ফেড কাপে। আশা করি, ইস্টবেঙ্গল অনেক ভাল খেলবে,’’ বলে দেন র্যান্টিদের কোচ।
শিলং থেকে সোমবার দুপুরেই শহরে ফিরেছেন। আজ মঙ্গলবার থেকে হাওড়া স্টেডিয়ামে ফেড কাপের প্রস্তুতি শুরু করে দেবে মর্গ্যান ব্রিগেড। তবে ফুটবলারদের ক্লান্তিও ভাবাচ্ছে ট্রেভরকে। কিন্তু তাঁর মতে, ‘‘টানা ম্যাচ খেলার ক্লান্তি তো থাকবেই। তবে সব দলকেই তো অল্প দিনের ব্যবধানেই ফেড কাপ খেলতে হচ্ছে। কিছু করার নেই। মানিয়ে নিতেই হবে।’’
ইস্টবেঙ্গল যখন মঙ্গলবার থেকে ফেড কাপের প্রস্তুতি শুরু করে দিচ্ছে, তখন মোহনবাগান এএফসি কাপের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকবে মলদ্বীপে। গুয়াহাটিতে মাজিয়াকে ৫-২ হারিয়েছিলেন সনি নর্ডিরা। এ বারও যদি সঞ্জয়ের টিম জিততে পারে তবে গ্রুপ শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করতে পারবে বাগান। যার ফলে নক আউট পর্বের প্রথম ম্যাচ অপেক্ষাকৃত কম শক্তির টিমের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পাবে তারা। এমনিতে ইতিমধ্যেই এএফসি কাপের শেষ ষোলোয় পৌঁছে গিয়েছে বাগান। সোমবার বিকেলে মলদ্বীপে পৌঁছিয়েছে সঞ্জয় সেনের টিম। তাই এ দিন ফুটবলররা বিশ্রাম নিয়েছেন। কার্ড সমস্যায় দলের সঙ্গে যাননি লুসিয়ানো সাব্রোসা। এ এফসি থেকে ফিরেই ফেড কাপের খেলা কাতসুমি-গ্লেনদের। তাঁদের প্রতিপক্ষ সালগাওকর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy