নেরোকা কোচ গিফট রাইখান।—ফাইল চিত্র।
বছরের পর বছর ঘুরে যায়, কিন্তু আই লিগের দেখা নেই ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে। লাল-হলুদ সমর্থকদের ১৪ বছরের প্রতীক্ষা পড়ল ১৫ বছরে। জানা নেই, আর কত বছর অপেক্ষা করতে হবে লাল-হলুদ সমর্থকদের। তবে, সমর্থকদের মধ্যে লিগ না পাওয়ার বেদনা থাকলেও একই রকম আছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ খালিদ জামিল।
লিগের শেষ ম্যাচেও তাই নেরোকার কাছে হেরে চেনা বুলিই আউড়ে গেলেন খালিদ। এ দিন হারের প্রসঙ্গে লাল-হলুদ কোচ বলেন, “গোটা দল চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু জয় তুলে আনতে পারেনি। দলের খারাপ পারফরম্যান্সের দায় আমি নিজের উপরই নিচ্ছি। হারের দায় আমার।”
বিশেষজ্ঞেরা বলেন, এক জন কোচ তখনই সফল, যখন তিনি কলকাতায় কোচিং করিয়ে সাফল্য পান। আইজলকে আই লিগ দেওয়া কোচকে কলকাতায় কোচিং করানোর প্রথম সুযোগ দেয় ইস্টবেঙ্গল। আইজলকে কোচিং করানো এবং ইস্টবেঙ্গলকে কোচিং করানো যে এক নয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু লাল-হলুদের হেডস্যরকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আমার কাছে সব সমান। কোনও ফারাকই নেই।”
আরও পড়ুন: হতশ্রী রেফারিং, ভুল স্ট্র্যাটেজি, চারেই শেষ করল ইস্টবেঙ্গল
আরও পড়ুন: এ বারও আশাভঙ্গ বঙ্গের, আই লিগ পেল মিনার্ভা
তবে, কোচের শরীরী ভাষায় বিশেষ কিছু পরিবর্তন না হলেও স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক অর্ণব মণ্ডল। অর্ণব শুধু বললেন, “আজ আমার কিছু বলার নেই। আমি মর্মাহত।”
বিষাদের সুর এডুয়ার্ডো ফেরেরার গলায়ও। এডু বলেন, “আমি হতাশ দল জিততে না পারায়। জানি, লিগ জয়ের জন্য আমাদের নির্ভর করতে হত অন্য ম্যাচের ফলাফলের উপর। কিন্তু নিজেরাই তো জিততে পারলাম না। খুব হতাশ লাগছে।”
তবে লাল-হলুদ শিবিরকে হয়তো সান্ত্বনা নিয়ে গেলেন নেরোকা কোচ গিফট রাইখান। স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে রাইখান বলেন, “মিনার্ভা পঞ্জাব জিতলেও আমার কাছে আসল চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানই। ওরা ট্রফি পায়নি ঠিকই কিন্তু এই দু’টি ক্লাবকে ঘিরেই মানুষের উন্মাদনা থাকে সব থেকে বেশি।”পাশাপাশি গিফট এ-ও জানিয়ে দেন, দলের খেলায় তিনি খুশি। দলের ফুটবলাররা যে ফুটবলটা খেলেছে তা শুধু টিম ম্যানেজমেন্টেরই নয়, মন জিতে নিয়েছে নেরোকার সমর্থকদেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy