আই লিগে ইস্টবেঙ্গলের ব্যর্থতার পিছনে পদত্যাগী কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য যে কারণগুলো সামনে এনেছিলেন তার অন্যতম ছিল পজিটিভ স্ট্রাইকারের বদলে বার্নার্ড মেন্ডির মতো একজন ডিফেন্ডার দলে নেওয়া।
লাল-হলুদের মরসুম শেষের পর দেখা যাচ্ছে, ফরাসি ফুটবলারটির পিছনে ক্লাবের খরচ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্লাবের আভ্যন্তরীণ হিসাব বলছে, চূড়ান্ত ব্যর্থ মেন্ডির পিছনে ম্যাচ প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় দশ লাখ টাকা। আই লিগ-ফেড কাপ মিলে দশটা ম্যাচ খেলেছেন মেন্ডি। আর তাঁর পিছনে ইস্টবেঙ্গলের মোট খরচ হয়েছে এক কোটিরও বেশি!
সামনের মরসুমে মেন্ডিকে রাখা হচ্ছে না প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু বাকি তিন বিদেশি রন্টি মার্টিন্স, ডু ডং, বেলো রজ্জাকের মধ্যে কাদের রাখা হবে? মেহতাব হোসেন, দীপক মণ্ডল, অর্ণব মণ্ডল,সৌমিক দে, জোয়াকিম আব্রাঞ্চেজ, তুলুঙ্গাদের জায়গা হবে পরের বারের টিমে?
ভোটের ফল কী হবে তা নিয়ে যেমন রাজ্য জুড়ে আলোচনা চলছে, আই লিগ-ফেড কাপে ইস্টবেঙ্গলের ব্যর্থতার পর কাকে দলে রাখা হবে, কাকে বাদ দেওয়া হবে তা নিয়েও এখন জোর জল্পনা ময়দানে। একই টিমের কাছে পরপর তিন ম্যাচে ব্যর্থ, এ রকম ঘটনা ক্লাবের ইতিহাসে বিরল, বলছেন লাল-হলুদের অনেকেই। আর সেই বিরল ছবি দেখার পর ক্লাব সচিব কল্যাণ মজুমদার ইতিমধ্যেই তোপ দেগেছেন ফুটবলারদের বিরুদ্ধে। বলে দিয়েছেন, ‘‘ওদের লাথি মেরে তাড়ানো উচিত।’’ অন্য কর্তারাও একই ধরনের কথা বলছেন। প্রায় সবারই মনোভাব, টিমের যা অবস্থা তাতে তো পুরো দলকেই বাতিল করা উচিত। সবার আগে ছাঁটা দরকার টিমের ‘বুড়ো’দের। এই যখন মনোভাব তখন ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য চাইছেন, পরের মরসুমের টিম বাছার ব্যাপারটা কোচ ট্রেভর মর্গ্যানের হাতেই ছেড়ে দিতে। ‘‘এ বার ঠিক করেছি কোচই টিম করুক। আমরা তো টিম করে সাফল্য দিতে পারিনি। কোচ বেছে নিক নিজের টিম। কোচ যে তালিকা দেবে তাদেরই রাখার চেষ্টা করবে ক্লাব।’’ ফুটবল সচিব এ কথা বললেও সেটা শেষ পর্যন্ত আদৌ হবে কি না তা নিয়ে ক্লাবের অন্দরেই গুঞ্জন। ব্রিটিশ কোচই টিম বাছবেন ধরে নিয়ে কিছু ফুটবলার তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ রাখতে শুরু করে দিয়েছেন বলে খবর। কারণ ফুটবল-বাজারের যা অবস্থা তাতে ইস্টবেঙ্গল ছেঁটে ফেললে অনেকেরই আর কোনও টিমে জায়গা হবে না। অথবা অবসরে চলে যেতে হবে।
বাতিলের গন্ধ পেয়ে ইতিমধ্যেই গত আট বছর লাল-হলুদ জার্সিতে খেলা হরমনজিৎ খাবরা লোন-এ বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। যিনি আইএসএলে সরাসরি চেন্নাইয়ানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ফুটবলার।
মর্গ্যান শুক্রবারই তাঁর পাসপোর্ট নথিভুক্ত করে ফিরে আসবেন শহরে। শনিবার ফুটবল সচিবের সঙ্গে টিম নিয়ে তাঁর আলোচনায় বসার কথা। পরের মরসুমের ফুটবলারদের তালিকাও তুলে দিতে পারেন ক্লাবের হাতে। সহকারী হিসেবে কাকে-কাকে চান সেটাও বলে দিতে পারেন। শনিবার রাতেই অস্ট্রেলিয়া চলে যাওয়ার কথা তাঁর। তার আগে নতুন মরসুমের চুক্তিপত্রেও সই করে যেতে পারেন মর্গ্যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy