Advertisement
E-Paper

আইজলের সঙ্গে ড্র করে ফেড কাপে শেষ চারে ইস্টবেঙ্গল

মহানদীর তীরে ডার্বির দামামা বাজিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল! কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার আইজল এফসি-র বিরুদ্ধে ড্র করলেই শেষ চারে পৌঁছে যেতেন ওয়েডসন আনসেলমে, উইলিস প্লাজা-রা।

শুভজিৎ মজুমদার

শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৭ ১০:১৩

মহানদীর তীরে ডার্বির দামামা বাজিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল!

কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার আইজল এফসি-র বিরুদ্ধে ড্র করলেই শেষ চারে পৌঁছে যেতেন ওয়েডসন আনসেলমে, উইলিস প্লাজা-রা। কিন্তু চেন্নাই সিটি এফসি ৩-১ গোলে চার্চিল ব্রাদার্সকে হারাতেই বদলে গেল ‘এ’ গ্রুপের ছবিটা। নিয়মরক্ষার ম্যাচ হয়ে দাঁড়াল ইস্টবেঙ্গল বনাম আইজল দ্বৈরথ।

ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিনই আইজল কোচ খালিদ জামিল জানিয়েছিলেন, সেমিফাইনালে পৌঁছে যাওয়ায় এই ম্যাচে কোনও ঝুঁকি নেবেন না। বিশ্রাম দিতে চান প্রথম দলের কয়েকজন ফুটবলারকে। মহম্মদ আল আমনা, কিংগসলে ওবুমেনম, আলফ্রেড জারিয়ান ও কামো বায়ো থেকে জয়েস রানে, জোডিংলানা রালতে— প্রথম একাদশের কাউকে খালিদ খেলাননি এদিন। দ্বিতীয় সারির দল নিয়েও অবশ্য ইস্টবেঙ্গলকে আটকে দিতে কোনও সমস্যা হয়নি আই লিগ চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচের পরে খালিদ বললেন, ‘‘এই ম্যাচটার কোনও গুরুত্ব আমাদের কাছে ছিল না। চেয়েছিলাম, অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে উঠতে। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।’’

কার্ড সমস্যায় মেহতাব হোসেন, গুরবিন্দর সিংহ। চোটের কারণে ইভান বুকেনিয়া আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন। আইজলের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগেই সেমিফাইনালে পৌঁছে যাওয়ার আনন্দে সম্ভবত চেন্নাই বধের নায়ক রবিন সিংহ-কে প্রথম দলে রাখেননি ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা। শুধু তা-ই নয়, ফরোয়ার্ডে একা প্লাজা-কে রেখে বদলে ফেলা হল ফর্মেশনও। কিন্তু ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোর জাতীয় দলের স্ট্রাইকার যেন গোল করতেই ভুলে গিয়েছেন। ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ১৬ মিনিট। আইজল পেনাল্টি বক্সের মধ্যে বল পেয়েছিলেন প্লাজা। কিন্তু বিস্ময়কর ভাবে গোলরক্ষকের গায়ে মারলেন ডোয়াইট ইয়র্কের উত্তরসূরি।

প্লাজার পথই অনুসরণ করলেন মহম্মদ রফিক! ৩১ মিনিটে তিনিও ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে পারেননি। লাল-হলুদের দুই তারকাই যেন এ দিন গোল নষ্টের প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন। যতগুলো সুযোগ প্লাজা ও রফিক পেয়েছিলেন, তার অর্ধেকও যদি কাজে লাগাতে পারতেন, হ্যাটট্রিক হয়ে যেত। অসাধারণ খেললেন বিকাশ জাইরু ও রওলিন বর্জেস। কিন্তু প্লাজা-রফিকের ব্যর্থতায় খেলা শেষ হওয়ার পরে বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল ম্যান অব দ্য ম্যাচ বিকাশকে।

হতাশ ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ রঞ্জন চৌধুরী বললেন, ‘‘এত গোল কেন নষ্ট হচ্ছে, বুঝতে পারছি না। আমাদের অন্তত পাঁচ-ছয় গোলে জেতা উচিত ছিল। তবে এই ম্যাচ থেকে প্রাপ্তি একটাই— প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করছে ছেলেরা।’’

ইস্টবেঙ্গল: শুভাশিস রায়চৌধুরী, সামাদ আলি মল্লিক, রাহুল ভেকে, অর্ণব মণ্ডল, নারায়ণ দাস, মহম্মদ রফিক (নিখিল পূজারি), রওলিন বর্জেস, কেভিন লোবো (লালরিনডিকা রালতে), বিকাশ জাইরু, ওয়েডসন আনসেলমে (রবিন সিংহ) ও উইলিস প্লাজা।

East Bengal Football Fed Cup Semifinal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy