Advertisement
E-Paper

সাতে সাত উৎসর্গ অমল দত্তকে, শেষ চারে ইস্টবেঙ্গল

অসমে যে দিন বরদলৈ ট্রফির সেমিফাইনালে উঠলেন ডং-রা, সে দিনই আই এস এলে খেলতে নামার সলতে পাকানো শুরু করল ইস্টবেঙ্গলে। পরের মরসুমে ইস্টবেঙ্গলকে আইএসএলে খেলতে দেখা যাবে কি না, তা এখনও সরকারিভাবে চূড়ান্ত হয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৫৮
ম্যাচের আগে লাল-হলুদ ফুটবলারদের সঙ্গে ভাইচুং ভুটিয়া। ছবি: পিটিআই।

ম্যাচের আগে লাল-হলুদ ফুটবলারদের সঙ্গে ভাইচুং ভুটিয়া। ছবি: পিটিআই।

অসমে যে দিন বরদলৈ ট্রফির সেমিফাইনালে উঠলেন ডং-রা, সে দিনই আই এস এলে খেলতে নামার সলতে পাকানো শুরু করল ইস্টবেঙ্গলে।

পরের মরসুমে ইস্টবেঙ্গলকে আইএসএলে খেলতে দেখা যাবে কি না, তা এখনও সরকারিভাবে চূড়ান্ত হয়নি। তা সত্ত্বেও ক্লাব তাঁবুতে শনিবারের বার্ষিক সাধারণ সভায় উঠে এল সুপার লিগে খেলার প্রসঙ্গ।

এ দিন গুয়াহাটিতে ইউনাইটেড সিকিমকে ২-০ গোলে হারিয়ে বরদলৈ ট্রফির সেমিফাইনালে জায়গা পাকা করে নিল রঞ্জন চৌধুরির লাল-হলুদ ব্রিগেড। দুই গোলদাতা অধিনায়ক জিতেন মুর্মু ও আদিলেজা। তবে শুধুই কী সিনিয়ররা? লাল-হলুদের জুনিয়র এবং অ্যাকাডেমির ফুটবলাররাও সমান ভাবে দাপিয়ে খেললেন। পরপর দুই ম্যাচে জিতে যাওয়ায় ইস্টবেঙ্গলের শেষ চারে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে গেল। ডং-রা যা খেললেন তাতে লাল-হলুদে মরসুমের দু’নম্বর ট্রফিটা ঢুকে যেতেই পারে।

কিন্তু ২০১৭-১৮ মরসুমে আই এসএলে খেলতে হলে টাকা কোথা থেকে আসবে ইস্টবেঙ্গলে? তা নিয়ে সদস্য-সমর্থকরা চিন্তিত। কর্তারাও। আর টাকা জোগাড়ের জন্য অভিনব পথ অবলম্বন করতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। ক্লাবের সাধারণ সভার পর শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলছিলেন, ‘‘আইএসএলের জন্য আমাদের এখনকার তুলনায় দ্বিগুন টাকা খরচ করতে হবে। সেই টাকা কী ভাবে জোগাড় করা যায়, তার জন্য সদস্যদের কাছে আমরা পরামর্শ চাইব বলে ঠিক করেছি।’’ জানা গিয়েছে, আইএসএলে খেলার সময় ক্লাবের নামের আগে এখনকার মতো স্পনসরদের নাম বসানোর নিয়ম নেই। সেটা আইএমজিআর বসাতে না দিলে ইস্টবেঙ্গলের খেলার কী হবে তা নিয়েও এ দিনের সভায় গুঞ্জন ছিল।

সভার শুরুতেই অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানানো হয়। ক্লাবের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের চিফ প্যাট্রন হওয়ার জন্য। এবং এ-ও ঠিক করা হয়েছে, রাজ্য সরকারের কাছে ক্লাব হাউস তৈরির জন্য জমির আবেদন করা হবে। সেটা ময়দানের ধারেকাছে না হলেও সমস্যা নেই। দেবব্রতবাবু বলছিলেন, ‘‘এই ক্লাব হাউসে সুইমিং পুল, জিম থেকে শুরু করে সব রকম সুযোগ সুবিধা থাকবে ফুটবলারদের জন্য। ফুটবলের উন্নতির জন্য আমরা সরকারের কাছে আবেদন করব।’’ সভায় আরও একটা চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত হয়। ঐতিহাসিক সাতে সাত কলকাতা লিগ জয় উৎসর্গ করা হয় প্রয়াত অমল দত্তর নামে। ১৯৭৭-এ ইস্টবেঙ্গলের যে দলটি সব ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তার কোচ ছিলেন অমলবাবু।

baichung bhutia bordoloi trophy tournament east bengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy