নতুন মরসুমের অনুশীলন-পরিকল্পনা শুরু করে দিল ইস্টবেঙ্গল।
বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য কোচ হওয়ার পর শুক্রবারই প্রথম তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা। সেখানে টিমের তালিকা নতুন কোচের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যে তালিকায় অনূর্ধ্ব-২০ দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ডু ডং হুয়ানের নামও আছে র্যান্টি মার্টিন্স-বেলো রজ্জাকদের সঙ্গে বিদেশি কোটায়। ক্লাবের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, ‘‘ডং-কে তৃতীয় বিদেশি হিসেবে সই করিয়েছি। প্র্যাকটিসের প্রথম দিন থেকেই যাতে থাকতে পারে, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে এখন।’’
বিশ্বজিতের প্র্যাকটিস শুরু ৬ জুলাই। সপ্তাহখানেক ক্লাবের মাঠে অনুশীলন করার পরে পনেরো দিনের আবাসিক শিবিরে চলে যাবে ‘টিম-বিশ্বজিৎ’। তারিখও চূড়ান্ত— ১৫ জুলাই। তবে আবাসিক শিবিরের জায়গা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কল্যাণী কিংবা খড়গপুর— দু’টোর মধ্যে যে কোনও একটায় হতে পারে আবাসিক শিবির। লাল-হলুদ কোচ বলছিলেন, ‘‘যে তালিকা আমি হাতে পেয়েছি, তাতে পাঁচ জন ফুটবলারকে আইএসএলের জন্য শুরুর দিকে পাব না। বাকি ফুটবলারদের যাতে প্রথম দিন থেকেই প্র্যাকটিসে পাওয়া যায়, সেটা নিশ্চিত করতে বলেছি কর্তাদের।’’
যে জন্য শুক্রবার রাতেই র্যান্টি-বেলো সহ বাইরের ফুটবলারদের মেল করে ৬ জুলাই প্র্যাকটিসে যোগ দেওয়ার কথা সরকারি ভাবে ক্লাব থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৪ তারিখ আসছেন সহকারী কোচ স্যামি ওমোলো। তার পরে ঠিক হবে গোলকিপার কোচ। আসলে ওমোলোর উপর অনেকটা নির্ভরশীল ইস্টবেঙ্গল। দেবব্রতবাবু বলছিলেন, ‘‘স্যামির গোলকিপিং কোচিংয়ের সঙ্গে ফিজিক্যাল ট্রেনারের লাইসেন্সও আছে। ও এলেই সাপোর্ট স্টাফ চূড়ান্ত করতে পারব।’’
তবে ওমোলো এসে পড়লে ইস্টবেঙ্গলে নতুন ফিজিক্যাল ট্রেনার না-ও লাগলে, সঞ্জয় মাঝিই যে গোলকিপিং কোচের দায়িত্ব পেতে চলেছেন, তা অনেকটাই নিশ্চিত। সঞ্জয় এখন গোলকিপিং কোচের পরীক্ষা দিতে গোয়ায়। ইস্টবেঙ্গল থেকে বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে তাঁকে পাঠানো হয়েছে। সঞ্জয় ফিরলে বিশ্বজিৎ-ওমোলোর সঙ্গে তিনিও হয়ে উঠবেন ইস্টবেঙ্গল কোচিং স্টাফের অন্যতম সদস্য।
এ দিকে, ডেরেক পেরেরার বদলে স্কটল্যান্ডের ম্যালকম টমসনকে কোচ করল সালগাওকর। এর আগে থমসন ব্রিটিশ ক্লাব সেল্টিক, রেঞ্জার্স, ব্ল্যাকপুল এফসি-র মতো ক্লাবে কোচিং করিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy