বলজিতের অন্তর্ঘাত-অধ্যায়ের নেপথ্যে বালোতেলি-ট্যাবলেট!
ইস্টবেঙ্গলে অন্তর্ঘাত-বিতর্কের বারো ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই বলজিৎ সিংহ সাইনিকে সেই বালোতেলি ট্যাবলেট-ই গেলানোর কথা বললেন কোচ এলকো সতৌরি।
নিট ফল, বলজিৎ-এলকো মনকষাকষির এ দিন অনুশীলনের আশপাশেই মধুরেণ সমাপয়েৎ ঘটল।
বালোতেলি-ট্যাবলেট কী? উত্তরটা বুধবার সকালে লাল-হলুদ প্র্যাক্টিসের পর দিলেন এলকো। ‘‘অনেক ফুটবলারই অনেক জায়গায় নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে না। তখন কোচ বিভিন্ন কায়দায় সেই প্লেয়ারকে তাতায়। যেমন মারিও বালোতেলিকে তার কোচেরা নানা সময় নানা ভাবে তাতিয়ে থাকে। বলজিৎকে তাতাতে আমিও সে রকম একটা কিছু করতে চেয়েছিলাম।’’
এ দিন ক্লাবের অনুশীলন শেষে তাঁবুর ভেতর একান্তে আলোচনা করেন মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গলের এএফসি কাপ ম্যাচে ঘটা বিতর্কের দুই কেন্দ্রীয় চরিত্র এলকো আর বলজিৎ। যাঁর প্রথম জন দ্বিতীয় জন সম্পর্কে আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে চাঞ্চল্যকর অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, ‘‘ও ইস্টবেঙ্গল টিমে সাবোটাজ করছে।’’ লাল-হলুদ কোচের দাবি, এ দিন দু’জনের একান্ত আলোচনাতেই তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন বলজিৎ। ‘‘বলজিৎ আমাকে কথা দিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে নিজেকে নিংড়ে দেবে। ফলে ওখানেই বিষয়টা শেষ হয়ে গিয়েছে,’’ বললেন এলকো। বলজিৎও মিডিয়াকে বলেন, ‘‘মাঠে বা মাঠের বাইরে আমার কোনও আচরণে কোচ যদি আঘাত পেয়ে থাকেন, তা হলে আমি দুঃখিত।’’ যদিও মঙ্গলবারের অন্তর্ঘাত বিতর্কের পর লাল-হলুদ ড্রেসিংরুমে অবিশ্বাসের বাতাবরণ দূর হল কি না তা নিয়ে সংশয় থাকছে।
তবে এলকো-বলজিৎ আমে-দুধে মিশে গেলেও লাল-হলুদ কর্তারা কিন্তু ফুটবলারকে উদ্দেশ্য করে কোচের অন্তর্ঘাতের অভিযোগে আদৌ খুশি নন। দলের ডাচ কোচকে ঠারেঠোরে ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার কার্যত সতর্কবার্তা দিলেন। বললেন ‘‘আমরা কোচের বিপক্ষে নই। কিন্তু তাঁর এই ধরনের শব্দ ব্যবহারও সমর্থন করি না। বিশ্বাস করি না, কোনও ফুটবলার মাঠে নেমে ইচ্ছে করে একশো ভাগ দিচ্ছে না।’’ ফুটবলারদের ‘নীতুদা’ আরও যোগ করলেন, ‘‘আমাদের কোচ হয়তো ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাস জানেন না। শুক্রবারই আই লিগ ম্যাচ খেলতে টিম বেঙ্গালুরু যাচ্ছে। ফিরলে ওঁনাকে বুঝিয়ে বলা হবে এ জাতীয় মন্তব্য না করতে।’’
এ দিন সকালে ‘কাফ মাসলের ব্যথা’য় প্র্যাক্টিসে নামেননি বলজিৎ। মাঠের বাইরেই বসে কাটান। এবং টিমের অনুশীলন শেষ হতেই তাঁবুমুখী এলকোর পিছন পিছন তাঁকে ফিরতে দেখা যায়। কিছু পরেই ড্রেসিংরুমের বাইরে একটা ঘরে একান্তে কোচের সঙ্গে কথা বলেন পঞ্জাবি ফুটবলারটি। তার পরেই হাসি মুখে দু’জনেই মাঠ ছাড়েন।
ইস্টবেঙ্গলের এক সূত্রের খবর, মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে কোচের অন্তর্ঘাতের গুরুতর অভিযোগের পর সেই রাতেই সদ্যসমাপ্ত জোহর দারুল ম্যাচের সিডি যোগাড় করেন বলজিৎ। হয়তো এলকোর অভিযোগের পাল্টা ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনে। তবে এ দিন সেটা নাকি আর চালানোর দরকার পড়েনি। তার আগেই দু’পক্ষে সমস্যা মিয়ে যাওয়ায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy