Advertisement
E-Paper

সবুজ মেরুন লাল-হলুদকে অভ্যর্থনায় তৈরি শহর

শহরের মোড়ে মোড়ে টাঙানো হয়েছে হোর্ডিং। আজ, শুক্রবার লাগানো হবে ফুটবলারদের ছবি। লাল-হলুদ, সবুজ-মেরুনকে স্বাগত জানাতে এ ভাবেই সেজে উঠছে শিলিগুড়ি। যা দেখে ফুটবলপ্রেমীরা বলতে শুরু করেছেন, ‘‘আমাদের শহর এখন ডার্বির শহর।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা শিল

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৫৮
ডার্বি-জ্বর: রবিবার বড় ম্যাচ। তার আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের সমর্থকদের উল্লাস। তেতে উঠছে শহরও। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

ডার্বি-জ্বর: রবিবার বড় ম্যাচ। তার আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের সমর্থকদের উল্লাস। তেতে উঠছে শহরও। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

শহরের মোড়ে মোড়ে টাঙানো হয়েছে হোর্ডিং। আজ, শুক্রবার লাগানো হবে ফুটবলারদের ছবি। লাল-হলুদ, সবুজ-মেরুনকে স্বাগত জানাতে এ ভাবেই সেজে উঠছে শিলিগুড়ি। যা দেখে ফুটবলপ্রেমীরা বলতে শুরু করেছেন, ‘‘আমাদের শহর এখন ডার্বির শহর।’’

আসতে শুরু করেছেন সমর্থকেরা। অনেকেই রবিবার ডার্বি দেখার আগে পাহাড় ডুয়ার্স দেখে নিচ্ছেন।

হিলকার্ট রো়়ড সেবক মোড় লাগোয়া যে হোটেলে মোহনবাগান দল উঠবে তা সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। দল এলে তাদের অভ্যর্থনা করার জন্যও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। লাল-হলুদ সমর্থকদের শিবিরও তৈরি হচ্ছে বিমানবন্দর থেকে ওয়েডসনদের অভ্যর্থনা জানাতে। ইস্টবেঙ্গল দলের স্থানীয় প্রতিনিধি তথা ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তা রবীন মজুমদার জানান, ফ্যানরা প্রতিবার যেমন প্রিয় দলের ফ্ল্যাগ নিয়ে, জার্সি গায়ে তাদের অভ্যর্থনা জানাতে যায় এ বারও সেই রীতি বজায় থাকছে।

মোহনবাগান যে হোটেলে উঠছে, তার সামনে দিন কয়েক আগে থেকেই কাতসুমি, সনি নর্ডি-সহ বিভিন্ন ফুটবলারদের ছবি দেওয়া ঢাউস হোর্ডিং টাঙানো হয়েছে। কাতসুমি, নর্ডিদের কাট আউটও বসানোর কথা ভেবেছিলেন হোটেল ম্যানেজার গোপাল বসু।

কিন্তু ক্লাব কর্তারা বাধ সেধেছেন। এক দুই জনের কাট আউট থাকবে আর অন্যদের থাকবে না তা হয় না। তাতে অন্য ফুটবলাররা মনক্ষুণ্ণ হতে পারেন। সে জন্য শেষে তিনি ঠিক করেছেন হোটেলের প্রবেশ পথে বোর্ডে দলের ফুটবলারদের অনেকের মুখের ছবি দেবেন। আর ম্যাচ জিতলে ৯ এপ্রিল রাতে চিংড়ি মেনু যে রাখছেনই, তা আগাম জানিয়ে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার মোহনবাগানের তরফে ইমরান খান, সুভব্রত দে এবং সোমনাথ পালরা শিলিগুড়ি পৌঁছে মাঠ ঘুরে দেখেন। তাঁরা জানান, যে ভাবে নকশা করে ঘাস ছাঁটা হচ্ছে তাতে মাঝে মাঝে এক ইঞ্চিরও বেশি বড় ঘাস থেকে যাচ্ছে। মাঠ অসমান মনে হচ্ছে। ম্যাচ কমিশনারও আপত্তি করবেন। সে কারণে ঘাস সমান করে ছেঁটে ফেলার কথা জানান ইমরানবাবু।

মোহনবাগান গ্যালারি ভরানো নিয়ে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃপক্ষ এ দিন তাদের উদ্বেগের কথা কর্মকর্তাদেরও জানান। ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ জানান, গ্যালারির ১০ হাজার টিকিট রয়েছে মোহনবাগানের জন্য। কলকাতায় তিন হাজার টিকিট পাঠানো হয়েছিল। মোহনকর্তারা এদিন জানান পুরোটাই ক্লাব টেন্ট থেকে বিক্রি হয়েছে। শিলিগুড়িতে কাউন্টার থেকে আরও দেড় হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। বাকি টিকিটও বিক্রি হয়ে যাবে বলে মোহনকর্তারা আশাবাদী।

Derby Match
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy