উইলিস প্লাজাকে ছেড়ে দিল মহমেডান। তাঁর জায়গায় সাদা-কালো জার্সিতে দেখা যেতে পারে ফিকরু তোফেরাকে। অন্তত ক্লাব কর্তাদের দাবি সে রকমই।
সেই ফিকরু যিনি আইএসএলের প্রথম মরসুমে এটিকে-র জার্সিতে প্রচুর গোল করেছিলেন। গোলের পর তাঁর সামার সল্ট দিয়ে গোল-সেলিব্রেশন দেখে যুবভারতী মাতোয়ারা হত। কিন্তু তৎকালীন এটিকে কোচ আন্তোনিও হাবাসের সঙ্গে ঝামেলায় কলকাতা ছাড়তে হয়েছিল ইথিওপিয়ার এই ফুটবলারকে। তার পর আবার ফিরছেন তিনি। মহমেডান ক্লাবের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে মেল করে জানানো হয়েছে সামনের সপ্তাহেই শহরে আসবেন বত্রিশ বছরের ফুটবলার। ফিকরু এখন খেলছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ডিভিশনের ক্লাব হাইল্যান্ড পার্কে।
ইস্টবেঙ্গল বাতিল করার পর মহমেডান নিয়েছিল প্লাজাকে। হইচই করে দশ নম্বর জার্সিও দেওয়া হয়েছিল ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারকে। সেই প্লাজাকে ছাড়তে বাধ্য হল সাদা কালো শিবির। কারণ ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। মহমেডানের ফুটবল বিভাগের চেয়ারম্যান দীপেন্দু বিশ্বাস বললেন, ‘‘প্লাজা ওর দেশের কাগজপত্র দেখানোয় ছেড়ে দিতে বাধ্য হলাম। প্লাজার বদলে ফিকরুর সঙ্গে আমাদের চুক্তি হচ্ছে।’’
ফিকরু শেষ পর্যন্ত কলকাতায় এলে তিনি খেলবেন কামো বায়োর সঙ্গে। কামোও বাতিল হয়েছিলেন মোহনবাগান থেকে। শোনা যাচ্ছে, আফগানিস্তানের একজন স্টপারকে এশীয় কোটায় নিতে চলেছে মহমেডান।
যে টুনার্মেন্ট খেলার জন্য ফিকরুকে নেওয়া হচ্ছে সেই আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনে অবশ্য শক্ত গ্রুপে পড়েছে মহমেডান। আইএসএলের তিনটি সেরা টিম বেঙ্গালুরু এফ সি, চেন্নাইইন এফ সি, জামসেদপুর এফ সি-র রিজার্ভ বেঞ্চ বা দ্বিতীয় দল খেলবে এই গ্রুপে। গ্রুপে রয়েছে তারু এফ সি এবং লানজেংসিং এফ সির মতো পাহাড়ি টিম। তিনটি গ্রুপে মোট ১৮টি দল খেলবে। প্রথমে প্রতিটি গ্রুপের ঘরে এবং বাইরের ম্যাচ হবে। পরে তিনটি গ্রুপের প্রথম দল মূলপর্বে খেলবে। তিনটি গ্রুপের সেরা দ্বিতীয় দল যাবে মূলপর্বে। টুনার্মেন্ট শুরু হবে ১৬ মার্চ। চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। এর পর ২১ মে থেকে ২৭ মে হবে মূলপর্ব।