Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Kalyan Chaubey

আরও চাপে কল্যাণ, তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে হস্তক্ষেপ করল এশীয় ফুটবল সংস্থা

ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন সংস্থার আইনি প্রধান নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য। বিষয়টি হালকা ভাবে নিচ্ছে না এএফসি। তারা আর্থিক দুর্নীতির প্রমাণ চেয়েছে নীলাঞ্জনের কাছে।

football

কল্যাণ চৌবে। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৪ ১৬:৩৩
Share: Save:

ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন সংস্থার আইনি প্রধান নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁকে পরে বরখাস্ত করা হয়। তবে বিষয়টি হালকা ভাবে নিচ্ছে না এশীয় ফুটবল সংস্থা (এএফসি)। তারা কল্যাণের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতির প্রমাণ চেয়েছে নীলাঞ্জনের কাছে।

নীলাঞ্জনের কাছে এএফসি-র নির্দেশ, আগামী ১৮ মার্চের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে দাবি তাঁদের। সংবাদপত্রের কিছু প্রতিবেদন পাঠিয়ে এএফসি-র শৃঙ্খলারক্ষা এবং এথিক্স কমিটির সহ-সচিব ব্যারি লিসাট জানিয়েছেন, ১৮ তারিখের মধ্যে সব অভিযোগের প্রমাণ জমা দিতে হবে। সব অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তথ্যপ্রমাণ চেয়েছে এএফসি। সেই অভিযোগ প্রকাশ্যে আনা হয়েছে কি না বা নীলাঞ্জন নিজের মতো করে তার ব্যবস্থা নিয়েছেন কি না তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।

নীলাঞ্জন সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “অন্তত এএফসি যে আমার অভিযোগকে মান্যতা দিয়েছে এতে আমি খুশি। ফেডারেশনের সকলে এ বিষয়ে চুপ। এই সবে শুরু। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এএফসি-র কাছে অভিযোগের প্রমাণ পাঠিয়ে দেব। আমার কাছে সব রয়েছে।”

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাবে কিছু দিন আগে কল্যাণ জানিয়েছিলেন, তাঁর সম্মানহানি করতেই এমন কাজ করা হয়েছে। তিনি ফেডারেশন সদস্য সংস্থা এবং কর্মসমিতির উদ্দেশে লেখা একটি চিঠিতে কল্যাণ বলেছিলেন, “ওদের (যিনি অভিযোগ করেছেন) কথার উত্তর দিয়ে গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিতে চাইছিলাম না। পরের বার্ষিক সাধারণ সভার ব্যাপারেই মনোযোগ দিতে চাইছিলাম। তবে কিছু ধন্দের উত্তর দিতে চাই।”

এর পরে কল্যাণ লিখেছিলেন, “এত দিনে সবাই বুঝতে পেরেছেন কী ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। খারাপ উদ্দেশ্য নিয়েই এই কাজ করা হয়েছে তা স্পষ্ট। এতে শুধু আমার সম্মানহানি হয়নি, এআইএফএফেরও সম্মান মাটিতে মিশেছে।”

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা প্রতিটি অভিযোগের আলাদা করে জবাব দিয়েছিলেন কল্যাণ। যেমন টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা নিয়ে জানিয়েছিলেন, আইএসএলের কর্ণধার এফএসডিএলের পরামর্শ নিয়েই টেন্ডার প্রক্রিয়া একটি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। সেই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় হাজির ছিলেন নীলাঞ্জনও। পাশাপাশি একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার সঙ্গে ফেডারেশনের চুক্তি নিয়ে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে কল্যাণের জবাব ছিল, যে হেতু ওই বিমান সংস্থা ভারতে সবচেয়ে জনপ্রিয়, তাই তাদের সঙ্গে জোট ভারতীয় ফুটবলের প্রসার ঘটানোই ছিল প্রধান উদ্দেশ্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kalyan Chaubey AIFF AFC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE