Advertisement
E-Paper

শনিবারই গ্রেফতার ফুটবল কর্তা, মহিলা ফুটবলারদের হেনস্থার অভিযোগে কড়া ফেডারেশন

মহিলা ফুটবলারদের শারীরিক হেনস্থা বিতর্কে কড়া অবস্থান নিল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)। শনিবার রাতেই গোয়া পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত দীপক শর্মাকে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৪ ২১:২৬
football

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

মহিলা ফুটবলারদের শারীরিক হেনস্থা বিতর্কে কড়া অবস্থান নিল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)। শনিবার রাতেই গোয়া পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত দীপক শর্মাকে। দুই মহিলা ফুটবলারকে হেনস্থা করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

গোয়া পুলিশের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেট সন্দেশ চাদনোকর সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “এআইএফএফের কর্মসমিতির সদস্য দীপক শর্মাকে দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। তবে বিভিন্ন ধারায় মাপুসা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। মহিলাদের আঘাত করা, জোর খাটানো ইত্যাদি বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে ওঁর বিরুদ্ধে। রাতে উনি জেল হেফাজতেই থাকবেন। রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।” গোয়া ফুটবল সংস্থার সভাপতি সাইটানো ফার্নান্ডেজ জানিয়েছেন, পুলিশে অভিযোগ জানানোর ক্ষেত্রে তাঁর সংস্থা সাহায্য করেছে।

উল্লেখ্য, হিমাচল প্রদেশের ক্লাব খাড় এফসি-র দুই ফুটবলার শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ আনেন ফেডারেশনের কর্মসমিতির সদস্য দীপকের বিরুদ্ধে। ওই ফুটবলারদের অভিযোগ, গোয়ায় ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগ চলাকালীন হোটেলের ঘরে শর্মা তাঁদের নিগ্রহ করেছেন। শুক্রবার ফেডারেশনের কাছে অভিযোগও দায়ের করেন দুই মহিলা ফুটবলার। তাঁরা জানান, রান্না করতে দেখে রেগে যান ওই কর্তা। তার পরেই নিগ্রহ করেন। দীপক হিমাচল প্রদেশ ফুটবল সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এবং ফেডারেশনের কম্পিটিশন কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান।

ফুটবলারদের অভিযোগ, ঘটনার সময় দীপক মত্ত অবস্থায় ছিলেন। হিমাচল প্রদেশ থেকে গোয়া আসার সময় ফুটবলারদের সামনেই মদ্যপান করেছেন। অভিযোগকারী এক ফুটবলার এক ওয়েবসাইটে বলেছেন, “সে দিন আমার চোট ছিল। ঘরে ডিম এনেছিলেন। রাত ১১টা নাগাদ রান্নাঘরে গিয়ে রান্না করছিলাম। তখন স্যর আমাদের নিজের ঘরে ডাকেন। আমার সতীর্থ তাঁর ঘরে যায় এবং ওকে জিজ্ঞাসা করা হয় আমরা কী করছিলাম। ও বলেছিল, ডিম রান্না করছি। তখন ওকে বকাবকি করেন এবং আমাকে ডেকে পাঠান। জিজ্ঞাসা করেন কেন ডিম রান্না করছি।”

মহিলা ফুটবলারটির আরও অভিযোগ, “আমি বলেছিলাম, ঘরে খাবার শেষ হয়ে গিয়েছে বলেই রান্না করছি। উনি সব ছুড়ে ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। আমি কাঁদতে শুরু করি এবং নিজের ঘরে গিয়ে দরজা ধাক্কাতে শুরু করি। সেটা শুনে স্যর আমাদের ঘরে আসেন এবং কোনও অনুমতি ছাড়াই ঘরে ঢুকে পড়েন। তার পরেই আমাকে শারীরিক নিগ্রহ করেন। পরে আমরা অভিযোগ করি। তাতেও আমাদের চাপ দিয়ে অভিযোগ তুলে নিতে বলা হয়।”

Indian Football AIFF
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy