ফাইল চিত্র।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি পর্বের ম্যাচের আগে বিব্রত বায়ার্ন মিউনিখ শিবির। নেপথ্যে রবার্ট লেয়নডস্কির চুক্তি! যা নিয়ে বিরক্ত পোল্যান্ডের তারকা।
তুলনায় অ্যানফিল্ডের ছবিটা অনেক ফুরফুরে। প্রথম লেগে ইন্টার মিলানের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে ২-০ জিতেছিল লিভারপুল। আজ, ঘরের মাঠে ফিরতি পর্বের ম্যাচ ড্র রাখতে পারলেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে লিভারপুলের। কিন্তু সতর্ক থাকছেন য়ুর্গেন ক্লপ। তিনি জানিয়েছেন, ‘আহত’ ইন্টার মিলানের ঝড় থামাতে হলে তাঁর দলকে অনেক ঠান্ডা মাথায় খেলতে হবে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের প্রথম পর্বে সালজ়বুর্গের বিরুদ্ধে অস্ট্রিয়ায় ১-১ ড্র করেছিল বায়ার্ন। আজ, মঙ্গলবার ফিরতি পর্বের ম্যাচ। তার আগে ক্লাব তাঁর সঙ্গে নতুন চুক্তির ব্যাপারে কথা না বলায় অসন্তুষ্ট বায়ার্ন মিউনিখের গোলমেশিন। বায়ার্নের হয়ে শেষ তিন ম্যাচে কোনও গোল পাননি লেয়নডস্কি। শোনা যাচ্ছে, তাঁর এজেন্ট পিনি জাহাভির সঙ্গে নাকি কথা বলেছেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কর্তারা।
লেয়নডস্কির বয়স এই মুহূর্তে ৩৩। বায়ার্নের অন্য বর্ষীয়ান ফুটবলার ম্যানুয়েল ন্যয়ার (৩৫), টমাস মুলারের (৩২) মতোই পোলিশ স্ট্রাইকারের ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ন্যয়ার ও মুলারের সঙ্গে ক্লাব চুক্তি বাড়ানোর ব্যাপারে কর্তারা প্রাথমিক কথাবার্তা বললেও লেয়নডস্কির সঙ্গে কোনও কথা বলেননি। আর এতেই রাগ বেড়েছে পোলিশ তারকার।
এ দিকে, সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে ক্লপ বলেছেন, “এটা মনে রাখতে হবে ইন্টার মিলান এখানে ঘুরতে আসছে না। ফুটবলে এটা জোর দিয়ে বলা যায় না যে, প্রথম পর্বের ফল ধরে রাখা সম্ভব হবে। ইন্টার শেষ চেষ্টা করতে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে চাইবে। সেই ঝড় থামাতে হলে আমার দলের রক্ষণকে খুব কঠিন এক পরীক্ষার সামনে দাঁড়াতে হবে। ফলে ঘরের মাঠে খেলব বলে বাড়তি কোনও সুবিধা থাকবে বলে মনে করি না।” তবে লিভারপুল শিবিরের স্বস্তি ফিরেছে রবার্তো ফিরমিনো, থিয়াগো আলকান্তারা এবং জোয়েল ম্যাটিপরা ফেরায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy