আই লিগ নিয়ে নাটক থামছেই না। কিছু দিন আগেই ইন্টার কাশীর আবেদন খারিজ করে চার্চিল ব্রাদার্সকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হিসাবে ঘোষণা করে দিয়েছিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) আপিল কমিটি। রায়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে (ক্যাস) গিয়েছিল ইন্টার কাশী। রবিবার দুপুরে ক্যাস ফেডারেশনকে নির্দেশ দিয়েছে, চার্চিলকে এখনই বিজয়ী ঘোষণা করা যাবে না। এ দিকে, এ দিন দুপুরেই সরকারি ভাবে চার্চিলের হাতে আই লিগের ট্রফি তুলে দিয়েছে ফেডারেশন।
গত ১৮ এপ্রিল চার্চিলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল। তার পরেই ক্যাসে আবেদন করে কাশী। ক্যাসের আপিল্স আরবিট্রেশন ডিভিশনের সহ-সভাপতি এলিজাবেথ স্টেনার ফেডারেশনকে নির্দেশ দিয়েছেন, এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন না করতে।
এ দিকে, রবিবার সন্ধ্যায় ফেডারেশন একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, রবিবারই গোয়ায় গিয়ে চার্চিলকে আই লিগের ট্রফি এবং পদক দেওয়া হয়ে গিয়েছে! তবে ফেডারেশনের দফতরে ছুটি থাকার কারণে ক্যাসের রায় তাদের কাছে এসে পৌঁছনোর আগেই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়ে যায়। ফেডারেশন সমস্ত নিয়ম মেনে চলবে, এ কথাও জানানো হয়েছে। এই কাজের জন্য ফেডারেশনকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছে।
নিজেদের যুক্তি জানানোর জন্য ফেডারেশন, চার্চিল এবং নামধারী এফসি-কে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছে ক্যাস। এ দিকে, এ দিনই মুম্বই সিটির কাছে ০-১ হেরে সুপার কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে কাশী।
উল্লেখ্য, আই লিগ শেষ হওয়ার পর চার্চিল ৪০ পয়েন্টে শেষ করে। ইন্টার কাশী শেষ করে ৩৯ পয়েন্টে। সমস্যা ইন্টার কাশীর একটি ম্যাচকে কেন্দ্র করে। গত ১৩ জানুয়ারি নামধারী এফসি-র সঙ্গে খেলা ছিল কাশীর। সেই ম্যাচে কাশী ০-২ গোলে হারে। তবে ম্যাচের পরেই নামধারীর বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) কাছে অভিযোগ করে কাশী। তাদের দাবি, ওই ম্যাচে নামধারী অবৈধ ভাবে ক্লেডসন কার্ভালহো দা সিলভাকে খেলিয়েছে। আগেই চারটি হলুদ কার্ড দেখায় ওই ম্যাচে নির্বাসিত থাকার কথা ছিল ক্লেডসনের। কিন্তু তিনি কাশীর বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে খেলেন।
ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি কাশীর আবেদন শুনে সেই ম্যাচে নামধারীকে পরাজিত ঘোষণা করে এবং কাশীকে তিন পয়েন্ট দিয়ে দেয়। কিন্তু ২৭ মার্চ নিজেদের সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখে তারা। এতে তীব্র প্রতিবাদ করে কাশী। আইনি হুমকিও দিয়ে রাখে তারা। তাতেও লাভ হয়নি। ফেডারেশন স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ায় ওই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট পায়নি কাশী। তাই চার্চিলকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন:
সে দিনই ইন্টার কাশী এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ৬ এপ্রিলের আগেই যে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত তা অনাবশ্যক দীর্ঘায়িত করা হয়েছে। পাশাপাশি, আপিল কমিটির শুনানিতে যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে তা ঠিক নয়। তাই ‘স্বচ্ছ’ বিচার পেতে ক্যাসের দ্বারস্থ হচ্ছে তারা। কাশীর দাবি, শুরু থেকেই তারা সাধারণ একটি নিয়ম কাজে লাগিয়ে সমস্যা সমাধানের আর্জি জানালেও তা শোনা হয়নি। সঠিক বিচার পেতে সব রকম চেষ্টা করবে তারা।
সেই চেষ্টার ফল আপাতত মিলেছে। জল কোথায় গড়ায় সেটাই এখন দেখার।