প্রফুল্ল পটেল ফাইল ছবি
সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার (এআইএফএফ) প্রাক্তন সভাপতি প্রফুল্ল পটেলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলল কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ)। তাদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ যাতে না মানা হয়, তার জন্য সব রকম ভাবে চেষ্টা করছেন পটেল। সিওএ-র তরফে শীর্ষ আদালতে আবেদন করে পটেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
দ্রুত নির্বাচনের জন্য গত ৩ অগস্ট নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আগে নির্বাচন করে পরে সংবিধান চূড়ান্ত করার কথা বলেছিল তারা। তবে সুপ্রিম কোর্টে সিওএ-র আবেদন বলা হয়েছে, ফিফার কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে তাঁর পদের অপব্যবহার করছেন পটেল। ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির জন্য শীর্ষ আদালত বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে সেই নির্দেশ অবমাননা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাচক্রে, পটেল এখনও ফিফা কাউন্সিলে ভারতের প্রতিনিধি।
সিওএ-র আবেদনে বলা হয়েছে, ৩ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ৬ অগস্ট রাজ্য সংস্থাগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে জুম কলে বৈঠক করেন পটেল। সেখানে কার্যত তাঁদের ভয় দেখান। ফিফা-এএফসির পাঠানো সাম্প্রতিক চিঠি দেখিয়ে বলেন, রোডম্যাপ না মানলে ফিফার নির্বাসন অবশ্যম্ভাবী। পটেলের ইন্ধনেই রাজ্য সংস্থাগুলির তরফে কেউ কেউ কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কিছু সদস্যকে ভুল বুঝিয়ে বলেন যে, আদালতের নির্দেশ মেনে চললে ফিফা এবং এএফসি-র নির্বাসন কেউ আটকাতে পারবে না। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বও হাত থেকে বেরিয়ে যাবে।
সিওএ-র অভিযোগ, ফিফা-এএফসির চিঠি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করার আগে তাদের সঙ্গে কোনও কথাই বলা হয়নি। রাজ্য সংস্থাগুলির প্রতিনিধিদের কথা শোনার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কিছু সদস্যও মেনে নেন যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সংশোধন করা দরকার। সেই অনুযায়ী কেন্দ্রীয় যুব এবং ক্রীড়া মন্ত্রকের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল সঞ্জয় জৈন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে তাদের আদেশ সংশোধনের কথা বলেছেন।
সুপ্রিম কোর্ট এই খবর জানার পর বুধবার কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্য সংস্থাগুলিকে। পিছনের দরজা দিয়ে আদালতের প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা করা হলে তা যে মেনে নেওয়া হবে না, সে কথা বলা হয়েছে। রাজ্য সংস্থাগুলির তরফে যে আবেদন করা হয়েছে, তা বৃহস্পতিবার খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি এএস বোপান্নার বেঞ্চ। রাজ্য সংস্থাগুলির আইনজীবী মানেকা গুরুস্বামীকে তাঁরা স্পষ্ট বলেছেন, “আদালতের নির্দেশ অবমাননা করার জন্য পিছনের দরজা দিয়ে যে কার্যকলাপ আপনারা করছেন তা মেনে নেওয়া হবে না। আপনারাই ঠিক করবেন বিশ্বকাপ দেশে হবে কি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy