গোলের পর উচ্ছ্বাস লাল-হলুদ ফুটবলারদের। ছবি: পিটিআই।
নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে পাঁচ গোলে জয়ের পর দলকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রত। ঘুরে দাঁড়ানোর নেপথ্যে দু’টি কারণ রয়েছে বলে জানালেন তিনি। প্রথমত, অনুশীলন এবং পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন বলে মনে করছেন তিনি। সেই সঙ্গে ভাগ্যের সাহায্যও পেয়েছেন বলে মত লাল-হলুদ কোচের।
সোমবার যুবভারতীতে নর্থইস্টকে পাঁচ গোল দেয় ইস্টবেঙ্গল। এ বারের আইএসএলে সাত ম্যাচে দ্বিতীয় জয়ের পর কুয়াদ্রত বলেন, “অবশেষে জয় পেলাম। আমরা চেষ্টা করে গিয়েছি, তবে সোমবার ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল। যে সুযোগগুলো পেয়েছি, তা থেকে গোল করতে পেরেছি। ওরা পেনাল্টি মিস করেছে। আমরা ভাগ্যবান যে কোনও গোল খাইনি। ফুটবল এ রকমই। চেন্নাইনের বিরুদ্ধেই আমরা দু’গোলে জিততে পারতাম। কিন্তু সে দিন ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল না। নর্থইস্টের বিরুদ্ধে আমরা জায়গা তৈরি করে তা সফল ভাবে কাজে লাগাতে পেরেছি। নিজেদের মধ্যে ভাল পাস খেলেছি। ফলে পুরো পয়েন্ট পেয়েছি। গত কয়েক মাস ধরে আমরা যে অনুশীলন করেছি, এত দিনে তা কাজে এল।”
সোমবারের জয়ের ফলে সাত নম্বরে উঠে এসেছে ইস্টবেঙ্গল। সাতটি ম্যাচের মধ্যে তারা দু’টি জিতেছে, দু’টি ড্র করেছে এবং তিনটিতে হেরেছে। গত ম্যাচে বোরহা হেরেরাকে চোটের জন্য পায়নি ইস্টবেঙ্গল। সোমবার তাঁকে পাওয়ায় দলের খেলার কৌশলে কিছুটা পরিবর্তন করেন কুয়াদ্রাত। তিনি বলেন, “কোন কোন খেলোয়াড় হাতে রয়েছে তার উপর নির্ভর করে কোন কৌশলে খেলব। যেমন বোরহা গত ম্যাচে ছিল না, এই ম্যাচে ওকে পেয়েছি। তাই কিছুটা পরিবর্তন হয় দলের কৌশলে। চেন্নাইনের বিরুদ্ধে তিন জন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার খেলেছিল। কারণ, ওই ম্যাচে আমরা গোল খেতে চাইনি। রক্ষণকে আরও আঁটোসাঁটো করার প্রয়োজন ছিল। তবে নর্থইস্টের বিরুদ্ধে কৌশল ছিল অন্যরকম। গত চার মাসে অনুশীলনে আমাদের ছেলেরা বিভিন্ন রকম কৌশলে খেলেছে। তাই ওরা জানে কখন কী ভাবে খেলতে হবে এবং কোন পরিস্থিতিতে কোন কৌশল কার্যকর করা যায়।”
আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে। ৯ ডিসেম্বর সেই ম্যাচ হবে যুবভারতীতেই। কোচ মনে করেন, তাঁর দল সঠিক দিকেই এগোচ্ছে। কুয়াদ্রত বলেন, “ছেলেদের আগেই বলেছি যে, প্রতি ম্যাচেই আক্রমণাত্মক খেলতে হবে। আমরা জিতি বা হারি, সমর্থকেরা যেন আমাদের জন্য গর্ববোধ করেন। গত কয়েক ম্যাচ আগেও আমাদের যে সব জায়গায় খামতি ছিল, নর্থইস্টের বিরুদ্ধে সেগুলো পাওয়া যায়নি। ফলে বলাই যায় যে, আমরা ঠিক দিকে এগোচ্ছি”।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy