২০২৪ সালের ২৮ জানুয়ারির রাত কি ফিরবে ৭ ডিসেম্বর ২০২৫-এ? সে দিন ওড়িশায় কার্লেস কুয়াদ্রাতের কোচিংয়ে ১২ বছর পরে সর্বভারতীয় ট্রফি এসেছিল লাল-হলুদ তাঁবুতে। তার পরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। কুয়াদ্রাত অধ্যায় অতীত। রবিবার সুপার কাপ জিতে কি সে দিনের সুখস্মৃতি ফিরিয়ে আনতে পারবেন অস্কার ব্রুসো?
ফতোরদায় সেই মাহেন্দ্রক্ষণ সৃষ্টির লড়াই কিন্তু মোটেও সহজ হবে না সাউল ক্রেসপোদের। গত মরসুমে জামশেদপুর এফসিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় গোয়া। চলতি বছরেও তারা ভাল ছন্দে রয়েছে। ঘরের মাঠে লড়াইয়ের অর্থ শুধু এগারো জন প্রতিপক্ষ নয় ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হবে দ্বাদশ ব্যক্তি অর্থাৎ গোয়ার সমর্থনও।
ফাইনালের চব্বিশ ঘণ্টা আগে সাউল ক্রেসপো, মহম্মদ রশিদ, কেভিন সিবিল্লে-দের ফুরফুরে মেজাজ যদি সমর্থকদের আনন্দ দেয়, তবে নিঃসন্দেহে কপালের ভাঁজ চওড়া করবে ডাগ-আউটে কোচ অস্কার ব্রুসোর না থাকা। পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে লাল কার্ড দেখায় তাঁকে থাকতে হবে গ্যালারিতে। দল পরিচালনা করবেন সহকারীকোচ বিনো জর্জ।
শুধু অস্কারের অনুপস্থিতিই নয়, সমর্থকদের চিন্তা বাড়িয়েছে হামিদ আহদাদের চোটও। এ দিনও তিনি সাইডলাইনে সময় কাটিয়েছেন। তাঁর খেলার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। সে ক্ষেত্রে দীর্ঘদেহী জাপানি স্ট্রাইকার হিরোশি ইবুসুকি শুরু করবেন। যদিও সাংবাদিক বৈঠকে বিনো বলেছেন, “আমরা অস্কারের পরামর্শ মতোই সব কিছু করছি। গোয়ার শক্তি-দুর্বলতা নিয়েও আলোচনা সেরেছি। মাঠে নেমে সেই মতো খেলতে হবে।”
এ দিন ইস্টবেঙ্গল প্রায় এক ঘণ্টা মতো অনুশীলন সেরেছে। জোর দেওয়া হয়েছে টাইব্রেকারের উপরে। আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ১২০ মিনিট ভাল খেলেও টাইব্রেকারে হারতে হয়েছিল রশিদদের। ফলে টাইব্রেকারে ম্যাচ গড়ালেও আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে ইস্টবেঙ্গল।
বিনো কিন্তু হুঙ্কার দিয়ে রেখেছেন। “চলতি মরসুমে আমরা তৃতীয় বার নক-আউট পর্যায়ে পৌঁছলাম। আমরা অংশগ্রহণ করতে নয়, ট্রফি জিততে এসেছি,” বলেছেন বিনো।
রবিবার সুপার কাপে: ইস্টবেঙ্গল বনাম এফসি গোয়া। সন্ধে ৭.৩০ থেকে। স্টার স্পোর্টস খেল চ্যানেলে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)