আকর্ষণ: ভারত-ইরান ম্যাচ দেখতে হাজির ভাইচুং। ছবি— টুইটার।
এএফসি এশিয়ান কাপে ভারতের মহিলা ফুটবল দলের প্রথম ম্যাচ দেখতে সিকিম থেকে নবি মুম্বই উড়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার অসংখ্য গোল নষ্ট করে ইরানের বিরুদ্ধে আশালতা দেবীরা ০-০ ড্র করায় মন খারাপ ভাইচুং ভুটিয়ার। তবে তিনি এখনও আশাবাদী শেষ আটে ভারতীয় দলের যোগ্যতা অর্জনের ব্যাপারে।
শুক্রবার বিকেলে সিকিম ফেরার পথে আনন্দবাজারকে ফোনে ভাইচুং বললেন, ‘‘ইরানের বিরুদ্ধে জিতলে ভাল জায়গায় থাকত ভারতীয় দল। কিন্তু ড্র হওয়ায় কিছুটা হলেও পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠেছে।’’ ভারতীয় ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকারের চিন্তিত হয়ে পড়াই স্বাভাবিক। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি গ্রুপ থেকে দু’টি করে দল সরাসরি শেষ আটে যোগ্যতা অর্জন করবে। সব গ্রুপের তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের মধ্যে সেরা দু’টি দলও ছাড়পত্র পাবে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার। ভাইচুং বলছিলেন, ‘‘এখন যা পরিস্থিতি, পরের ম্যাচে চিনা তাইপের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জিততেই হবে ভারতকে। সেক্ষেত্রে ‘এ’ গ্রুপে পয়েন্ট টেবলের তৃতীয় স্থানে শেষ করলেও সেরা দু’টি দলের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা বেঁচে থাকবে মনীষা কল্যাণদের।’’
ইরানের বিরুদ্ধে ড্র করলেও ভাইচুং খুশি ভারতীয় দলের ফুটবলারদের খেলায়। তিনি বলেছেন, ‘‘যে ভাবে মেয়েরা খেলেছে, তাতে আমি অভিভূত। ইরান শুরু থেকেই শারীরিক ফুটবল খেলছিল। তবে অসংখ্য গোল নষ্ট করার মূল্য দিতে হয়েছে ভারতীয় দলকে। তবে যে কোনও প্রতিযোগিতায় প্রথম ম্যাচ সব সময়ই কঠিন হয়।’’ এর পরেই যোগ করলেন, ‘‘ভারতকে আটকে দেওয়ার জন্য কৃতিত্ব দিতেই হবে ইরানের গোলরক্ষক জ়োহরেশ কৌদেইকে। অবিশ্বাস্য দক্ষতায় একাধিক অবধারিত গোল বাঁচিয়েছে।’’
ভারতীয় দলের কার খেলা সবচেয়ে ভাল লেগেছে? ভাইচুংয়ের কথায়, ‘‘মাঝমাঠে অঞ্জু তামাং দুর্দান্ত খেলেছে। পুরো দলটাকে খেলাচ্ছিল। আক্রমণে নেতৃত্ব দিচ্ছিল। অঞ্জুর জন্য ভারতীয় দলকে অনেক সঙ্ঘবদ্ধ দেখাচ্ছিল।’’ বালা দেবী থাকলে কি ভারতীয় দল জিতে মাঠ ছাড়ত? ভাইচুং বলছেন, ‘‘আক্রমণ ভাগে বালা দেবীর মতো অভিজ্ঞ ফুটবলার থাকলে দল আরও শক্তিশালী হত। হয়তো জিততেও পারত ভারত। কিন্তু কিছু করার নেই। চোট-আঘাত থাকবেই। আমি আশাবাদী, দলের বাকিরা ওর অভাব পূরণ করতে সফল হবে।’’
ভাইচুং প্রশংসা করলেন ভারতের মহিলা ফুটবল দলের কোচ থোমাস দেনার্বিরও। বললেন, ‘‘থোমাস দলটা দারুণ তৈরি করেছেন। একসঙ্গে যেমন সকলে আক্রমণে উঠছে, তেমন নেমেও আসছে। ম্যাচের মধ্যে একে অপরকে সাহায্য করছে। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy