অপেক্ষা: ডার্বির টিকিটের লম্বা লাইনে মোহন বাগান ও ইস্টবেঙ্গল (ডান দিকে) তাঁবুর বাইরে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
মরসুমের প্রথম ডার্বির আগে কলকাতা ময়দানের চিরকালীন দৃশ্য। দুই প্রধানের মাঠের বাইরে টিকিট কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন। কেউ টিকিট পেয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরলেন। কেউ কেউ দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটা থেকে ডার্বির টিকিট দেওয়ার কথা ছিল। অনেকেই ভোরবেলাই পৌঁছে গিয়েছিলেন ময়দানে। সত্তর ছুঁইছুঁই এক মহিলাকে দেখা গেল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুর সামনে গাছের নীচে রাস্তার উপরেই বসে রয়েছেন। প্রিয় নাতি বায়না ধরেছে ডার্বি দেখবে। ঠাকুরমা তাই সাত সকালেই চলে এসেছিলেন।
টিকিটের লাইনে দাঁড়িয়ে শুরু হয়ে গেল দল নিয়ে বিশ্লেষণ। মোহনবাগান সমর্থকরা ধরেই নিয়েছেন শনিবারও যুবভারতীতে সবুজ-মেরুনের জয়রথ ছুটবে। লাল-হলুদ সমর্থকদের প্রধান আগ্রহ ছিল গত মরসুমে সবচেয়ে সফল ক্লেটন সিলভা ডার্বির আগে কলকাতায় আসছেন কি না তা নিয়েই। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে শহরে পৌঁছনোর কথা ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকারের। দীর্ঘ বিমানযাত্রার ক্লান্তি কাটিয়ে আদৌ কি খেলতে পারবেন তিনি? লাল-হলুদ অন্দরমহলের খবর, ক্লেটনকে দলে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।
উৎসবের আবহে সুর কাটল বিকেলের দিকে। অভিযোগ সন্ধে ছ’টা পর্যন্ত টিকিট দেওয়ার কথা থাকলেও মোহনবাগানের মাঠের কাউন্টার তার অনেক আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, ‘‘মরসুমের প্রথম ডার্বিতে টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে হওয়াই স্বাভাবিক। এই ক্ষোভ থাকবেই। ডুরান্ড কাপের আয়োজকদের আরও ভালভাবে দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল।’’ ক্ষুব্ধ ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের একাংশও। তাঁদের অভিযোগ পছন্দ মতো টিকিট না পাওয়ায়। বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। লাল-হলুদের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, ‘‘টিকিট বিক্রি করছে ডুরান্ড কাপের আয়োজকরাই। টিকিট না পেলে সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাবেনই। আমাদের প্রায় ১৩ হাজার সদস্য। অথচ ডুরান্ড কমিটি দিয়েছে মাত্র পাঁচ হাজার টিকিট। তাই শুক্রবার দুপুর একটা থেকে আগে এলে আগে পাওয়ার ভিত্তিতে সদস্যদের টিকিট দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy