কেন রেগে গেলেন ফ্রান্সের কোচ? ছবি: রয়টার্স
বিশ্বকাপ ফাইনালের আগের দিনও পিছু ছাড়ল না সেই একই প্রশ্ন। তার উত্তর দিতে গিয়ে মাথা গরম করে ফেললেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশঁ। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ছিল, করিম বেঞ্জেমাকে কি ফাইনালে খেলানো হবে? এর আগে একই প্রশ্নের অসংখ্য বার উত্তর দিয়েছেন দেশঁ। এ দিন সেই উত্তর দিতে গিয়েই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন তিনি।
সাংবাদিক প্রশ্ন করতেই দেশঁর উত্তর, “আপনিই কি বিদেশি সাংবাদিকদের মধ্যে এই গুজবটা ছড়িয়ে দিচ্ছেন? আমি উত্তর না দিলে তো বলবেন চাপে রয়েছি। আগেও আমার অনেক ফুটবলার চোট পেয়েছে। করিম তাদের মধ্যেই একজন। শেষ ফুটবলার হিসাবে চোট পেয়েছে লুকাস হের্নান্দেস। তার পর ২৪ জন ফুটবলারের সঙ্গে থেকেছি। আপনারা সব ফুটবলারকেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে এই একই প্রশ্ন করেন। এটা আমার কাছে অত্যন্ত বিরক্তিকর। গোটা দল এখানে রয়েছে। এ ছাড়া বাকি প্রাক্তন ফুটবলাররা কী করছে না করছে তা নিয়ে অত মাথা ঘামাই না।”
দেশঁ আরও বলেছেন, “আমার দলে ২৪ জন ফুটবলার রয়েছে। তাই যে নেই, তাকে নিয়ে বেশি কথা বলতে চাই না। কে ম্যাচ দেখতে আসবে, কার কী সমস্যা সে সব নিয়ে কথা বলার সময় এখন নয়। কাতারে এসেও আমি ক্রিস্টোফার এনকুনকু, করিম, লুকাসকে হারিয়েছি। তাই এখন যারা রয়েছে, তাদের নিয়েই ভাবতে চাই।” সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল যে, দেশঁর সঙ্গে আবার সম্পর্ক খারাপ হয়েছে বেঞ্জেমার। তাঁর হালকা চোট থাকা সত্ত্বেও শিবির ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন দেশঁ। সেটা ভাল ভাবে নিতে পারেননি বেঞ্জেমা।
তবে এ সবের থেকেও ফ্রান্স দলে একটা বড় সমস্যা, ফুটবলারদের ‘কোল্ড ভাইরাসে’ আক্রান্ত হওয়া। সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি আদ্রিয়ে হাঁবিয় এবং দায়োত উপামেকানো। সেই প্রসঙ্গে দেশঁ বলেছেন, “এত সমস্যার মধ্যেও আমরা শান্ত থাকার চেষ্টা করছি। সাবধানতা মেনে চলছি। যেটা দরকার, সেটাই মেনে চলছি। পরিস্থিতি যতটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, সেই চেষ্টাই করছি।” গোলকিপার এবং অধিনায়ক হুগো লরিস এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমি এই ধরনের পরিস্থিতির জন্যে প্রস্তুত ছিলাম না। কিন্তু সেটা কাটিয়ে ওঠার জন্য যাবতীয় চেষ্টা করছি।”
প্রতিপক্ষ দলে রয়েছেন লিয়োনেল মেসি নামে এক ফুটবলার, যিনি একাই বিশ্বকাপ মাতিয়ে দিচ্ছেন। তবে দেশঁকে বিশেষ ভাবিত মনে হল না। তিনি বলেছেন, “আমি এখনও কোনও চাপে নেই। বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলতে নামছি। আর্জেন্টিনীয়রা বিশ্বকাপ জেতার জন্য মরিয়া। তবে আমি জানি যে, কিছু ফরাসিও মেসির হাতে ট্রফি দেখতে চায়। কালকের পর একটা দলের জার্সিতেই তিনটে তারা থাকবে। সেটা যাতে আমাদের হয়, তাতেই লক্ষ্য থাকবে।”
লরিস আবার মানতেই চাইলেন না যে রবিবারের দিনটা মেসির। বলেছেন, “এই প্রতিযোগিতাটা এত বড় যে এখানে কোনও একজন ফুটবলারের দিকে নজর দিলে চলে না। দুটো দারুণ দেশের মধ্যে ফাইনাল হতে চলেছে। মেসির মতো ফুটবলারের বিরুদ্ধে খেলতে নামলে ওর দিকে নজর দিতে হবে। কিন্তু এই ম্যাচটা শুধু ওকে নিয়েই নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy