ইস্টবেঙ্গলের দুই গোলদাতা ক্লেটন সিলভা ও নন্দকুমারের উল্লাস। ছবি: এক্স।
ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামের রং লাল-হলুদ। সুপার কাপের ডার্বি জিতল ইস্টবেঙ্গল। ৩-১ গোলে মোহনবাগানকে হারাল তারা। সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের জয়ের পাঁচ কারণ কী কী?
ইস্টবেঙ্গলের জয়ের পাঁচ কারণ:
১) ক্লেটনের অভিজ্ঞতা: নিজের অভিজ্ঞতা দেখালেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক। গোল খাওয়ার পরে তিনি যখন সমতা ফেরালেন তখন তাড়াহুড়ো করেননি। বল ধরে জায়গা করেছেন। তার পরে ডান পায়ের জোরালো শট মেরেছেন। সেখানে অন্য কেউ থাকলে হয়তো আগেই শট মেরে দিতেন। তা হলে গোল না হওয়ারও সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু ক্লেটন সেই ভুল করেনি।
২) মাঝমাঠের দখল রাখল ইস্টবেঙ্গল: ম্যাচের বেশির ভাগ সময়েই মাঝমাঠের দখল ইস্টবেঙ্গলের কাছে থেকেছে। তার ফলে বেশি আক্রমণ তৈরি করতে পেরেছে তারা। কখনও থ্রু, আবার কখনও প্রান্ত ধরে আক্রমণ করেছে ইস্টবেঙ্গল।
৩) বাগান রক্ষণকে চাপে রাখা: সবুজ-মেরুন রক্ষণকে চাপে রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। রবি রানা নামার পরে তাঁর উপর চাপ বাড়ান ক্লেটন। সেই চাপেই ভুল করেন রবি। সেখান থেকে দ্বিতীয় গোল করে ইস্টবেঙ্গল। তৃতীয় গোলের ক্ষেত্রেও ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের চাপে ভুল করে বাগান রক্ষণ।
৪) রক্ষণে নিশু কুমার: দুরন্ত খেলেছেন নিশু। প্রান্ত ধরে বার বার কিয়ান নাসিরি ঢুকলেও একটিও ক্রস করতে পারেননি তিনি। বেশির ভাগ সময়েই তাঁর ক্রস আটকে দিয়েছেন নিশু। আশিস রাইকেও আটকেছেন তিনি। ফলে সুবিধা হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারদের।
৫) কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের পরিকল্পনা: গোল খাওয়ার পরেই পরিকল্পনায় বদল করেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ক্লেটনকে কিছুটা পিছনে নামিয়ে আনেন তিনি। খেলা তৈরি করেন ক্লেটন। সঙ্গে বোরহা হেরেরা ও সউল ক্রেসপো ছিলেন। নন্দকুমারকে এগিয়ে দেন কোচ। তাঁর গতি সমস্যায় ফেলে বাগানকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy