স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। —ফাইল চিত্র
প্রথম ম্যাচে কেরালার বিরুদ্ধে হারতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। দ্বিতীয় ম্যাচে নামার আগে কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন দাবি করলেন অন্য দলের বাতিল ফুটবলারদের নিয়ে দল গড়া হয়েছে। যদিও সেই ফুটবলাররাই দলের শক্তি হয়ে উঠবেন বলে মনে করছেন কোচ।
দলের মধ্যে জেতার খিদে দেখতে চাইছেন কনস্ট্যানটাইন। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে লাল-হলুদ কোচ বলেন, “আমাদের সঙ্ঘবদ্ধ হতে হবে। শক্তিশালী হতে হবে এবং ছোটখাটো ভুল করা চলবে না। আমাদের দলের ছেলেদের অনেক কিছু প্রমাণ করার আছে। বিশেষ করে ভারতীয়দের। যাদের অন্য সব ক্লাব বাতিল করে দেওয়ার পরে তারা এই ক্লাবে যোগ দিয়েছে। তাই প্রত্যেকে প্রতি ম্যাচে নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ পাবে।”
গোয়ার বিরুদ্ধে ডুরান্ড কাপে খেলেছে ইস্টবেঙ্গল। যদিও কোচ মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, সেই দলের সঙ্গে তফাত রয়েছে আইএসএলের দলের। তিনি বলেন, “ডুরান্ড কাপে এফসি গোয়া পুরো শক্তি নিয়ে নামেনি। এই দলটা আমাদের কাছে নতুন। ওদের কাছেও ইস্টবেঙ্গল নতুন দল। এটা তাই অন্য যে কোনও ম্যাচের মতোই হবে। আগে থেকে শক্তি বোঝার উপায় নেই। ঘরে হোক বা বাইরে, আমরা যেখানেই খেলি তিন পয়েন্ট পাওয়ার জন্য খেলি। ওদের নতুন কোচ, সে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য মরিয়া হয়ে থাকবে। দলে গত বারের অনেক ফুটবলার থাকলেও নতুন কোচ মানে নতুন পরিকল্পনা।”
কোচের দাবি কেরালার বিরুদ্ধে প্রথম ৭০ মিনিট ভাল খেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। ওই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ১-৩ গোলে হেরেছিল। কনস্ট্যানটাইন বলেন, “কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে প্রথম ৭০ মিনিটের কথা ভাবছি আমি। ওরা তো গত দু’বছর ধরে একসঙ্গে খেলছে। আমরা ভালই খেলেছি। অন্য দল হলে হয়তো আত্মসমর্পণ করত। চার-পাঁচ গোল খেয়ে নিত। কিন্তু আমাদের দল সে রকম নয়।”
ইস্টবেঙ্গল দলে সে ভাবে টাকা নেই বলে জানিয়েছেন কোচ। তিনি বলেন, “অন্যান্য দলের যে রকম বাজেট রয়েছে, আমাদের তা নেই। আড়াই-তিন মাসের প্রাক মরসুম প্রস্তুতিও করতে পারিনি আমরা। মাত্র ৪ সপ্তাহ পেয়েছি। এই প্রস্তুতির পরে লোকে যদি মনে করে আমরা সেরা চারে বা ছয়ে থাকব, তা হলে তাদের আর একটু বাস্তববাদী হওয়া দরকার। পরিবর্তনের মধ্যে আমাদের নতুন খেলোয়াড় এসেছে, নতুন দল, নতুন কোচ ও স্টাফ। একটু সময় তো দিতেই হবে।”
এফসি গোয়ার হয়ে আগে খেলেছেন ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ ভাগের ফুটবলার ইভান গঞ্জালেজ। তিনি বলেন, “ভারতে আসার পরে বেশির ভাগ সময়ই হোটেলে কাটাতে হয়েছে আমাকে। কোনও সমর্থক ছিল না তখন। এখন তফাৎটা বুঝতে পারছি। এই ক্লাবের অসাধারণ ইতিহাস আছে। এখানে এসে সেটা উপলব্ধি করতে পারছি। গোয়ায় প্রচুর সমর্থক রয়েছে, ওদের ভাবনা-চিন্তা অন্য রকমের। কিন্তু এই ক্লাবের শতাধিক বছরের ঐতিহ্য রয়েছে, তাই ব্যাপারটা একে বারে অন্য রকম। আমাদের এই ঐতিহ্যকে সন্মান জানিয়ে আগ্রাসী ফুটবল খেলতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy