জর্জ ভিলদা। ছবি: টুইটার।
স্পেনের মহিলা ফুটবল দলকে বিশ্বসেরা করেও চাকরি বাঁচাতে পারলেন না জর্জ ভিলদা। লুইস রুবিয়ালেসের চুমুকাণ্ডের মধ্যেই বিশ্বকাপ ফাইনালের দু’সপ্তাহের মাথায় চাকরি খোয়ালেন ভিলদা। মহিলা ফুটবলারদের দাবি মেনে নিল স্পেনের ফুটবল সংস্থা।
মহিলাদের বিশ্বকাপ ফাইনালের পর থেকে চুমুকাণ্ডে জর্জরিত স্পেনের ফুটবল। অভিযুক্ত ফুটবল সংস্থার প্রধান রুবিয়ালেস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্পেনের ফুটবল সংস্থা মহিলাদের ফুটবলে ব্যাপক রদবদল শুরু করেছে। তারই অংশ হিসাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বিশ্বজয়ী কোচকে। কারণ মহিলা দলের ফুটবলারদের সঙ্গে ভিলদার সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত শীতল। টবলারেরা প্রায় কেউই তাঁর সঙ্গে কথা বলতেন না। বিশ্বকাপ জয়ের পরেও কোচ বাদ দিয়েই উচ্ছ্বাস, উৎসবে মেতেছিলেন তাঁরা। স্পেনের প্রথম সারির একাধিক মহিলা ফুটবলার (কমপক্ষে ১৫ জন) ভিলদার কোচিংয়ে খেলতে অস্বীকার করেন। তাঁরা বিশ্বকাপের আগেই জাতীয় দল থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিলেন।
প্রায় এক বছর ধরে ভিলদাকে কোচের পদ থেকে সরানোর দাবিতে সরব ছিলেন স্পেনের মহিলা ফুটবলারেরা। কিন্তু ফুটবল সংস্থার সভাপতি রুবিয়ালেসের ঘনিষ্ঠ ভিলদার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেননি ফুটবল কর্তারা। চুমুকাণ্ডের জন্য ফিফা রুবিয়ালেসকে তিন মাসের জন্য নিলম্বিত করেছে। স্পেনের ফুটবল কর্তারা ভিলদাকেও সরিয়ে দিলেন। স্পেনের ফুটবল সংস্থার অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি পেদ্রো রোকা মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, রুবিয়ালেস পদত্যাগ করবেন না জানানোর পর স্পেনের ৮২ জন মহিলা ফুটবলার জানান, তাঁরা জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন না। তার পর ভিলদা বাদে বাকি কোচিং স্টাফেরা পদত্যাগ করেছিলেন।
মহিলাদের বিশ্বকাপে চুমুকাণ্ডে অভিযুক্ত ফুটবল কর্তা রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছে স্পেনের সরকার। বিশ্বকাপ ফাইনালের পর পুরস্কার দেওয়ার সময় স্পেনের মহিলা ফুটবলার জেনিফার এরমোসোকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে চুমু খেয়েছিলেন রুবিয়ালেস। তাঁর দাবি ছিল, এরমোসোর সম্মতিতেই চুমু খেয়েছিলেন। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন এরমোসো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy