Advertisement
E-Paper

আবার জোড়া গোল লিস্টনের, ডুরান্ডে বিএসএফকে চার গোলে হারাল মোহনবাগান

ডুরান্ডের দ্বিতীয় ম্যাচে বিএসএফ-কে ৪-০ হারাল মোহনবাগান। আবার জোড়া গোল করলেন লিস্টন কোলাসো। এ বার গ্রুপ শীর্ষে ওঠার লড়াই ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৫ ২১:০২
football

গোলের পর লিস্টনের উচ্ছ্বাস। ছবি: সমাজমাধ্যম।

ডায়মন্ড হারবার দিয়েছিল আট গোল। মোহনবাগান দিল চার গোল। ডুরান্ড কাপে কলকাতার দুই ক্লাবের থেকে ১২ গোল হজম করল বিএসএফ। ডুরান্ডের দ্বিতীয় ম্যাচে বিএসএফ-কে ৪-০ হারাল মোহনবাগান। আবার জোড়া গোল করলেন লিস্টন কোলাসো। এ বার গ্রুপ শীর্ষে ওঠার লড়াই ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে।

খেলার শুরুতেই দু’বার অল্পের জন্য গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় মোহনবাগান। প্রথম মিনিটেই মোহনবাগান ফুটবলারদের ভুল পাস পেয়ে গিয়েছিলেন বিএসএফের ফুটবলার কিশোরী। তিনি গোল লক্ষ্য করে শট নিলেও তাতে জোর ছিল না। বাঁচিয়ে দেন বিশাল কায়েথ। পরের মিনিটে বল হারান দীপক টাংরি। এ বারও বল যায় কিশোরীর কাছে। এ বারও তিনি গোল করতে ব্যর্থ হন।

কিশোরভারতীতে মোহনবাগান সমর্থকদের মধ্যে তত ক্ষণে উসখুস শুরু হয়ে গিয়েছে। সকলেই ভাবছিলেন, অঘটন হবে না কি? তবে ধীরে ধীরে খেলায় ফিরতে থাকে মোহনবাগান। একাধিক বার বল নিয়ে বিএসএফের বক্সে আক্রমণ করে তারা। মনবীরের একটি শট বাঁচান বিপক্ষ গোলকিপার হরপ্রীত।

এর পর মূলত মাঝমাঠের লড়াই হতে থাকে। আক্রমণ করছিল মোহনবাগানই। বিএসএফের ফুটবলারেরা চেষ্টা করছিলেন গোল না হজম করার। তবে বেশি ক্ষণ প্রতিরোধ করতে পারেননি। ২৪ মিনিটে গোল করেন মনবীর সিংহ। বাঁ দিক থেকে রোশনের ভেসে আসা ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন তিনি।

তবে প্রথমার্ধে আর মোহনবাগান গোল করতে পারেননি। বিএসএফের ফুটবলারেরা ধৈর্য দেখিয়ে মোহনবাগানের যাবতীয় আক্রমণ আটকে দেন। লিস্টন কোলাসো, মনবীর, সুহেল ভাটেরা বিপক্ষের গোলের কাছাকাছি গেলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।

মনে করা হয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধে বিএসএফ ঘুরে দাঁড়াতে পারে। সেই সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় ১০ মিনিটের মোহনবাগান-ঝড়ে। সাহাল সামাদের সঙ্গে পাস খেলে পৌঁছে যান বক্সে। বক্সের মধ্যে বল নিয়ন্ত্রণ করে নিচু শট নেন লিস্টন। বল জালে জড়িয়ে যায়। পাঁচ মিনিট পরে আবার গোল করে মোহনবাগান। এ বারও সেই লিস্টন। একাই বিএসএফের বক্সের মধ্যে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন। বিপক্ষের একাধিক ফুটবলারকে কাটিয়ে গোলকিপারের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন।

তিন গোল খেয়ে ফেরার মতো অবস্থা ছিল না বিএসএফের। ৬১ মিনিটে আরও একটি গোল খেয়ে যায় তারা। বিএসএফের রক্ষণ কতটা বেহাল তা আরও এক বার স্পষ্ট হয়ে যায়। বাঁ দিক থেকে বিএসএফের বক্সে ঢুকে পড়েন সাহাল। বিপক্ষের গোলকিপার এগিয়ে এসেছিলেন। তাঁকে কাটিয়ে গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন। শেষ মুহূর্তে গোললাইন সেভ করেন বিএসএফের এক ফুটবলার। সঙ্গে সঙ্গে আপত্তি জানান মোহনবাগানের ফুটবলারেরা। তাঁরা দাবি করেন, বল গোলের ভিতরে গিয়েছে। তাতে সম্মত হন লাইন্সম্যান। তিনি গোলের ইঙ্গিত করেন।

৭৮ মিনিটে পঞ্চম গোলের সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানের কাছে। হ্যাটট্রিক করে ফেলতে পারতেন লিস্টন। তবে নিজে গোল না করে সাহালকে পাস দিতে যান। তবে পাসটা একটু জোরে হয়ে যাওয়ায় সাহাল পৌঁছতে পারেননি।

Mohun Bagan BSF Durand Cup 2025
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy