গত বুধবার গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে লিভারপুলের ফুটবলার দিয়োগো জোতা এবং তাঁর ভাই আন্দ্রে সিলভার। দু’জনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল শনিবার। সেখানে হাজির থাকলেন লিভারপুলের একাধিক ফুটবলার। ছিলেন পর্তুগালের সতীর্থেরাও। তার মধ্যে একজন আমেরিকায় ক্লাব বিশ্বকাপ খেলে সঙ্গে সঙ্গে চলে এসেছেন। তবে শোকের সময়ে কিছুটা তাল কাটল অনুরাগীদের হট্টগোলে।
পর্তুগালের শহর গন্দোমারের ইগরেজা মাত্রিজ গির্জায় শেষকৃত্য হয়। স্থানীয় সময় ১১টা থেকে শেষকৃত্যের কাজ শুরু হয়। লিভারপুলের অধিনায়ক ভার্জিল ভ্যান ডাইককে দেখা গিয়েছে লাল রংয়ের ফুলের স্তবক নিয়ে আসতে, যার মাঝে সাদা ফুল দিয়ে ‘২০’ সংখ্যাটি লেখা ছিল, যেটি জোতার জার্সি সংখ্যা। লিভারপুলের আর এক ফুটবলার অ্যান্ডি রবার্টসন একই রকম ফুলের স্তবক নিয়ে আসেন। সেখানে ছিল ‘৩০’ সংখ্যা, যা পরতেন আন্দ্রে।
পর্তুগালের জাতীয় দলের কোচ রবার্তো মার্তিনেস ছাড়াও বের্নার্দো সিলভা এবং রুবেন দিয়াস হাজির ছিলেন। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের অধিনায়ক ব্রুনো ফের্নান্দেসকেও দেখা গিয়েছে। আল হিলালের হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলছিলেন রুবেন নেভেস। শুক্রবার রাতে আমেরিকায় খেলেই বিমান ধরেছিলেন। তিনিও হাজির ছিলেন শেষকৃত্যে।
জোতা এবং আন্দ্রের মরদেহ যে কবরস্থানে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেখানে হাজির হয়েছিলেন প্রচুর মানুষ। ভিড়ের চাপে দুই ভাইয়ের দেহ নিয়েই যাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আরও পড়ুন:
বুধবার রাতে স্পেনের জ়ামোরায় গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় জোতা এবং তাঁর ভাই আন্দ্রের। তাঁদের গাড়িতে আগুন ধরে যায়। উত্তর স্পেনের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে জাহাজে করে ইংল্যান্ডে যাওয়ার কথা ছিল। স্পেনের পুলিশ এখনও ঘটনার তদন্ত করছে। ঠিক কী কারণে গাড়ি দুর্ঘটনা হয়েছে তা এখনও খুঁজে বার করা যায়নি। অন্য কোনও গাড়ির কারণে দুর্ঘটনা হয়নি এ ব্যাপারে নিশ্চিত পুলিশ।
পরিবারের লোকেরা দুই ভাইকে শনাক্ত করার পর শবদেহ তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দু’সপ্তাহ আগেই দীর্ঘদিনের বান্ধবী রুতে কার্দোসোকে বিয়ে করেছিলেন জোতা। পরিবারের কেউই এখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।