নিউ টাউনের সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের উৎকর্ষ কেন্দ্রে তখনও ভারতীয় দল অনুশীলন শুরু করেনি। কোচ মানোলো মার্কেসকে দেখা গেল লালিয়ানজ়ুয়ালা ছাংতের সঙ্গে আলোচনা সারতে। কোচের প্রত্যেকটি কথা মন দিয়ে শুনলেন ছাংতে। কারণ তিনি জানেন আগামী ১০ জুন এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে হংকংকে হারাতেই হবে। না হলে তাঁরা আরও খাদের ধারে চলে যাবেন।
এ দিন অনুশীলনেও কিছুটা পরিবর্তন করেছেন মানোলো। এত দিন শারীরিক সক্ষমতা ও বোঝাপড়া বাড়ানোর দিকে জোর দিয়েছিলেন। শিবিরের চতুর্থ দিনে তিনি দল নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা সারলেন। দুই প্রান্তে কখনও লিস্টন কোলাসো-মনবীর সিংহ জুটি, আবার কখনও প্রান্তিক আক্রমণে এলেন ছাংতে। লেফ্ট ব্যাক হিসেবে কখনও খেললেন শুভাশিস বসু, আবার কখনও দেখা গেল মেহতাব সিংহকে।
তবে দল নিয়ে পরীক্ষা করলেও ডিফেন্ডার সন্দেশ কিন্তু একেবারেই মেনে নিচ্ছেন না দলে বোঝাপড়ার সমস্যা রয়েছে। তাঁর কথায়, “প্রত্যেকে সেরাটা দিতে মরিয়া। আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হল বোঝাপড়া।”
সোমবার সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা দলের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ভারত। এ দিন থেকে সঞ্জয় সেনের অধীনে অনুশীলনও শুরু করে দিলেন বাংলার ফুটবলাররা। সঞ্জয় বললেন, “দু-তিন দিনের প্রস্তুতিতে ফুটবলাররা তো শারীরিক সক্ষমতার শীর্ষে যেতে পারবে না। সুনীল ছেত্রীদের বিরুদ্ধে সেরাটা মেলে ধরতে পারলে ছেলেরা আত্মবিশ্বাস পাবে।”
নিজেদের সেরাটা দিতে মরিয়া চাকু মান্ডি, ইসরাফিল দেওয়ানরাও। চাকু বললেন, “কোচ একটাই কথা বলেছে, সেরাটা দাও।” অন্য দিকে ইসরাফিলের কথায়, “সুনীল ভাইয়ের সামনে নিজেকে উজাড় করে দেব। ”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)