মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। ছবি: টুইটার।
ডুরান্ড কাপে নিয়ম রয়েছে ৩০ জন ফুটবলার খেলানোর। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে কি ভুল করে ফেললেন মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দো? ডুরান্ডে তিনটি ম্যাচে মোট ৩৩ জন ফুটবলারকে খেলিয়ে ফেলেছেন তিনি। তা নিয়ে সরকারি ভাবে অভিযোগ জানিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। অভিযোগ পাঠানো হয়েছে ভারতীয় ফুটবল সংস্থার (এআইএফএফ) সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে।
ইস্টবেঙ্গলের দাবি, প্রথম দুটি ম্যাচে ২৭ জন ফুটবলারকে খেলিয়েছিল মোহনবাগান। শনিবারের ম্যাচে আরও ছ’জন ফুটবলার খেলানো হয়েছে। সর্বোচ্চ তিন জন খেলানো যেতে পারত। এ বিষয়েই অভিযোগ জানানো হচ্ছে এআইএফএফের কাছে। ম্যাচের পর ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বললেন, “মোহনবাগান তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ডুরান্ডে। এর মধ্যেই ওরা ৩৩ জন ফুটবলারকে ব্যবহার করে ফেলেছে। ডুরান্ডে নিয়ম রয়েছে ৩০ জনকে খেলানোর। আমরা কখনও ৩০ জনের বেশি ফুটবলারকে খেলাব না। ওরা নিয়মের বাইরে গিয়ে কাজ করেছে।”
কুয়াদ্রাতের সংযোজন, “আমি ভারতীয় ফুটবলকে ভালবাসি। তাই জন্যেই আবার এখানে কাজ করতে এসেছি। কিন্তু নিয়ম সব জায়গায় সমান ভাবে কাজে লাগানো হয় না, এটা দেখে অবাক হয়েছি। মোহনবাগানের ব্যাপারটা বুঝতে পারছি। ওরা সবাইকে খেলিয়ে দেখে নিতে চাইছে। এর পরে এএফসি কাপের ম্যাচ রয়েছে। সেটাকে আমি সমীহ করি। কিন্তু নিয়ম তো সবার জন্যেই সমান তাই না?”
শুধু তাই নয়, শনিবারের ম্যাচের রেফারিকেও এক হাত নিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের। ম্যাচে মোহনবাগান একাধিক খারাপ ট্যাকল করলেও কার্ড দেখানো হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। বলেছেন, “আমার কাছে একটা ব্যাপার অদ্ভুত লেগেছে। এখানে নিয়ম এবং রেফারিংয়ের কোনও ধারাবাহিকতা নেই। গোটা ম্যাচে আমরাই একমাত্র হলুদ কার্ড দেখেছি। ওদের কেউ হলুদ কার্ড দেখেনি। অথচ বেশ কিছু ট্যাকল ওরা করেছে যেগুলো কার্ড দেখার মতোই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy