গোয়ায় সুপার কাপ শুরুর আগে অন্দরমহলের সমস্যায় জর্জরিত ছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু শুক্রবার ফতোরদা স্টেডিয়ামে ডার্বি গোলশূন্য শেষ হওয়ার পরেই নাটকীয় ভাবে বদলে গেল ছবি। শেষ চারে উঠে ইস্টবেঙ্গলে যখন উৎসব, মোহনবাগান শিবিরে ঢুকে পড়ল অশান্তির কালো মেঘ! সুপার কাপ থেকে বিদায়ের জন্য দল পরিচালন সমিতিকে দায়ী করলেন কোচ হোসে ফ্রান্সিসকো মলিনা। দাবি করলেন, ফুটবল নির্বাচন করেছে দল পরিচালন সমিতি। তাঁর কোনওক্ষমতা নেই।
সুপার কাপ থেকে বিদায়ের পরে সাংবাদিক বৈঠকে মলিনা বলেছেন, ‘‘প্রধান কোচ হিসেবে আমি সিদ্ধান্ত নিই প্রথম একাদশ নির্বাচন, অনুশীলন ও রণকৌশল তৈরির ব্যাপারে। কিন্তু কোন ফুটবলারকে নেওয়া হবে সেই সিদ্ধান্ত পরিচালন সমিতিই নেয়। আমার কোনও ক্ষমতাই নেই।’’ মলিনার এই মন্তব্য ক্ষুব্ধ মোহনবাগানের দল পরিচালন সমিতির সদস্যরা। তাঁরা বলছেন, ‘‘আমাদের গড়ে দেওয়া দল নিয়েই গত মরসুম আইএসএলে প্রথমবার দ্বিমুকুট জিতেছিলেন মলিনা। এ বার আইএফএ শিল্ডে চ্যাম্পিয়ন হলেন। তখন তো কিছু বলেননি। কোচের আপত্তি সত্ত্বেও আমরা গত মরসুমে গ্রেগ স্টুয়ার্টকে জোর করে রেখে দিয়েছিলাম। মোহনবাগানের সাফল্যের অন্যতম কারিগর ছিল ও।’’ যোগ করেছেন, ‘‘ডেম্পোর বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে আট জন ফুটবলার পরিবর্তন করে ডুবিয়েছেন মলিনা। ডার্বিতে ছয় বিদেশি খেলানোর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি মাত্র তিন জনকে রেখেছিলেন প্রথম একাদশে? কেন এ রকম মরণ-বাঁচন ম্যাচে এক স্ট্রাইকারে খেলালেন দলকে?’’ প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে, মোহনবাগানের সঙ্গে মলিনার বিচ্ছেদ কি তা হলে আসন্ন?
মলিনা যখন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করছেন দল পরিচালন সমিতির বিরুদ্ধে, ইস্টবেঙ্গল শিবিরে তখন উচ্ছ্বাসে ভাসছেন অস্কার। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই সহকারী কোচ বিনো জর্জ জড়িয়ে ধরেন তাঁকে। ম্যাচ সম্প্রচারকারী চ্যানেলে অস্কার বলেছেন, ‘‘সত্যি কথা বলতে কষ্ট করে আবেগ চেপে রেখেছি। আইএফএ শিল্ড বা ডুরান্ড কাপে হারের পরে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। আশা করি সুপার কাপে সমর্থকদের হতাশ করব না। তিন মাস ধরে প্রস্তুতি নেওয়ারফল পেলাম।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)