ডুরান্ড কাপের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পেল ইস্টবেঙ্গল। নামধারী এফসিকে হারাতে কিছুটা বেগ পেতে হল অস্কার ব্রুজ়োর দল। গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হল ম্যাচের ৬৮ মিনিট পর্যন্ত। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করলেন মরক্কোর জাতীয় দলের ফুটবলার হামিদ আহদাদ। নামধারীর রক্ষণাত্মক ফুটবলের জাল কাটতে বার বার সমস্যা পড়লেন লাল-হলুদ স্ট্রাইকারেরা। এ দিনের জয়ে প্রতিযোগিতার নকআউট পর্বে চলে গেল ইস্টবেঙ্গল।
প্রথম থেকেই আগ্রাসী ফুটবল খেলতে শুরু করেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারেরা। তবু প্রতিপক্ষের গোলের সামনে পায়ের জটলা ভেদ করতে পারছিলেন না দিয়ামানতাকোস, মিগুয়েল ফেরেইরারা। সুবিধা করতে না পেরে একটা সময় দূরপাল্লার শটে গোলের চেষ্টা করেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারেরা। তবু সাফল্য আসেনি প্রথমার্ধে। ফেরেইরা একাই বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেন। তবে ভাগ্যও এ দিন তাঁর সহায় ছিল না। বার বা পোস্টে লেগে ফিরে এসেছে তাঁর তিনটি চেষ্টা। প্রথমার্ধে নামধারীর গোল লক্ষ্য করে ৯টা শট মারে ইস্টবেঙ্গল। অন্য দিকে নামধারী মাঝে মাঝে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করলেও ইস্টবেঙ্গল বক্সে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেনি। প্রথমার্ধে নামধারীর ফুটবলারেরা একটা শটও নিতে পারেননি ইস্টবেঙ্গল গোল লক্ষ্য করে।
ব্রুজ়ো এ দিন দলের সব বিদেশিকেই মাঠে নামিয়ে দেখে নেন। শেষ দিকে চোট সারিয়ে ফেরা সৌভিক চক্রবর্তীকেও মাঠে নামান। পরিবর্ত হিসাবে নেমেই ৬৮ মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া বলে হেড করে গোল করেন আহদাদ। এই গোলের ক্ষেত্রে দায় রয়েছে নামধারীর গোলরক্ষক নীরজ কুমারেরও। বলের ফ্লাইট মিস করেন তিনি। ফলে ফাঁকায় বল পেয়ে যান আহদাদ। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। ম্যাচের শেষ দিকে গোলের আরও একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। ঘরে ৩ পয়েন্ট এলেও স্ট্রাইকারদের গোল নষ্ট চিন্তায় রাখবে ব্রুজ়োকে। সাউল ক্রেসপো, মহম্মদ রাশিদেরা অর্ধেক সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেও আধ ডজন গোলে জিততে পারত ইস্টবেঙ্গল। নীরজও কয়েক বার হতাশ করেছেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের। এর মধ্যেও ইতিবাচক দিক হল, প্রথম ম্যাচের পর দিন দশেকের অনুশীলনে দলের খেলায় একটা ছন্দ তৈরি করতে পেরেছেন লাল-হলুদ কোচ।
আরও পড়ুন:
বুধবার ডুরান্ড কাপের ম্যাচে বাংলা ভাষা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপের আঁচ দেখা গেল যুবভারতীর গ্যালারিতে। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের একাংশের ঝোলানো ব্যানারে লেখা ছিল, ‘‘ভারত স্বাধীন করতে সেদিন পরেছিলাম ফাঁসি, মায়ের ভাষা বলছি বলে, আজকে বাংলাদেশি।’’