ইস্টবেঙ্গলের পর মোহনবাগানও আটকে গেল ডেম্পোর কাছে। খেলা শেষ হল গোলশূন্য অবস্থায়। ভাল খেলেও গোয়ার ক্লাবটির রক্ষণ ভাঙতে পারলেন না হোসে মোলিনোর ফুটবলারেরা। ডার্বির আগে ধাক্কা খেল আইএসএল চ্যাম্পিয়নেরা।
দু’টি করে ম্যাচের পর ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের পয়েন্ট ৪। গোল পার্থক্যে শীর্ষে ইস্টবেঙ্গল। দু’ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ডেম্পো। চতুর্থ স্থানে থাকা চেন্নাইয়িনের পয়েন্ট শূন্য। এই পরিস্থিতিতে বেড়ে গেল ডার্বির গুরুত্ব। কারণ পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে ডেম্পোরও। তারা চেন্নাইয়িনকে হারিয়ে দিলে, ৫ পয়েন্টে পৌঁছে যাবে। ডার্বি ড্র হলে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের পয়েন্টও হবে ৫। সে ক্ষেত্রে গোল পার্থক্যে প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে যেতে পারে কলকাতার এক প্রধান।
কামিন্স, পেত্রাতোস, ম্যাকলারেন, রবসনদের নামিয়েও ৩ পয়েন্ট ছিনিয়ে নিতে পারলেন না মোহনবাগান কোচ। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের মতোই মোহনবাগানের বিরুদ্ধেও একজোট হয়ে লড়াই করলেন ডেম্পোর ভারতীয় ফুটবলারেরা। নিঃসন্দেহে ডেম্পোর চেয়ে অনেক শক্তিশালী মোহনবাগান। তবু মোলিনার দলের বিরুদ্ধে সমানে সমানে লড়াই করল তারা। মোহনবাগান ফুটবলারদের একটু বাড়তি জায়গা ছাড়েননি ডেম্পোর ফুটবলারেরা। সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের সারাক্ষণ জ়োনাল মার্কিংয়ে রাখেন ডেম্পোর ফুটবলারেরা। ফলে সার্বিক ভাবে মোহনবাগান ফুটবলারদের দাপট থাকলেও গোলের মুখ খুলতে পারেননি তাঁরা। উইং ধরে একের পর এক আক্রমণ তৈরি করেছেন মোহনবাগান ফুটবলারেরা। কিন্তু ডেম্পোর রক্ষণের কাছে প্রতিহত হতে হয়েছে। গোল করার কয়েকটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি কামিন্সেরা।
আরও পড়ুন:
ম্যাচের সংযুক্ত সময়ে মনবীর সিংহ ডেম্পোর একা গোলরক্ষককে পেয়ে গোল করতে পারলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। তবে তার আগে এমনই একটি সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করে ডেম্পোও। গোয়ার ক্লাবটির গোলপোস্ট লক্ষ্য করে গোটা ম্যাচে ১৮টি শট মেরেছেন সবুজ-মেরুন ফুটবলারেরা। তার মধ্যে মাত্র তিনটি ছিল গোলের মধ্যে।