গোলের পর উচ্ছ্বাস ভারতীয় ফুটবলারদের। ছবি: টুইটার।
সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও সুনীল ছেত্রীদের আগ্রাসী খেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন কোচ ইগর স্তিমাচ। অথচ ভারতীয় দল শুরু করল কিছুটা মন্থর ভাবে। ১৫ মিনিটে কুয়েত গোল করার পর ধীরে ধীরে খেলায় ফেরেন সুনীলেরা। ৩৮ মিনিটে ভারত সমতায় ফেরে লালিয়ানজুয়ালা ছাঙতের গোলে।
ফাইনালে প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিল ভারত। ম্যাচের ৪ মিনিটে সুনীলের হেড সরাসরি কুয়েতের গোলরক্ষকের হাতে যায়। এর মিনিট ২ পরেই কর্নার পায় ভারত। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। শুরুতে কুয়েতের দাপটই ছিল বেশি। ১৫ মিনিটে সুপরিকল্পিত আক্রমণ থেকে গোল করেন আলখালদি। পিছিয়ে পড়ে খেলার দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন ভারতীয় ফুটবলারেরা। ১৯ মিনিটে সুনীলের শট আটকে দেন কুয়েতের গোলরক্ষক। কুয়েতের ফুটবলারেরা কিছুটা শারীরিক ফুটবল খেললেও গুটিয়ে যায়নি ভারতীয় দল। সমানে সমানে লড়াই করলেন মাঝমাঠের ফুটবলারেরা। ধীরে ধীরে মাঝমাঠের দখল নিয়ে নেয় ভারত। তবে ৩৪ মিনিটে পেশিতে টান লাগায় মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন আনোয়ার আলি। নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার মাঠ ছাড়ায় কিছুটা ক্ষতি হয় ভারতের। যদিও অন্য ফুটবলারেরা হাল ছাড়েননি। বরং সমতা ফেরাতে নতুন উদ্যমে লড়াই শুরু করেন বাকিরা। ৩৮ মিনিটে সাহাল সামাদ একা বল নিয়ে অনেকটা উঠে পাশ দেন সুনীলকে। তিনি আবার বল ফিরিয়ে দেন সাহালকে। তিনি বল সাজিয়ে দেন ফাঁকায় থাকা ছাঙতেকে। মঙ্গলবারই বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়া ২৫ বছরের মণিপুরের ফুটবলার গোল করতে ভুল করেননি।
ভারত সমতায় ফেরার পর কিছুটা গাজোয়ারি ফুটবল শুরু করে কুয়েত। মাঠে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথম থেকেই কড়া হাতে ম্যাচ করেছেন রেফারি। প্রয়োজনে কার্ড দেখাতে দ্বিধা করেননি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে কুয়েতের কোচকেও হলুদ কার্ড দেখান তিনি। ১-১ ফলেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy