মঙ্গলবার ইরানে সেপাহান এফসির বিরুদ্ধে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-এর ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। কিন্তু ফুটবলারদের সুরক্ষার স্বার্থে ইরান যাত্রা বাতিল করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে সুবিচার চেয়ে চিঠি দেয় মোহনবাগান। রবিবার মোহনবাগানের ফুটবলাররাও সমাজমাধ্যমে এএফসিকে তোপ দেগে নিরপেক্ষ কেন্দ্রের কথা বলে একের পর এক পোস্ট করতে থাকেন। তবে প্রতিযোগিতায় না খেলতে যাওয়ার জন্য এএফসির তরফে শাস্তির আশঙ্কাও থাকছে মোহনবাগানের।
ক্রীড়া আদালতে (ক্যাস) মোহনবাগানের পাঠানো চিঠিতে নানা বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। সবুজ-মেরুন ম্যানেজমেন্টের দাবি, প্রথমত, তেহরানের ভারতীয় দূতাবাসে মোহনবাগানের ফুটবলারদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও সাহায্যের জন্য আবেদন করে একাধিক চিঠি পাঠানো হলেও কোনও সদুত্তর আসেনি। দ্বিতীয়ত, এএফসির কাছেও এই বিষয়ে চিঠি পাঠানো হলেও তারা নিরুত্তর থেকেছে। তৃতীয়ত, তিন অস্ট্রেলীয় ফুটবলার দিমিত্রি পেত্রাতস, জেমি ম্যাকলারেন ও জেসন কামিংস এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভিসায় ভারতে আসা অস্ট্রেলীয় টম আলড্রেড-দের সে দেশের তরফে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, ইরানে গেলে তার কোনও দায়িত্ব সরকার নেবে না।
এ দিকে রবিবার শুভাশিস বসু, মনবীর সিংহ, দিমিত্রি পেত্রাতস, সাহাল আব্দুল সামাদ, অনিরুদ্ধ থাপা, দীপক টাংরিরা সমাজমাধ্যমে পাঁচ বছর আগের একটি পোস্ট দিয়ে এএফসির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। সেই পোস্টে ২০২০ সালে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রাথমিক পর্বের দু’টি ম্যাচ নিরাপত্তার কারণে সরে যায় নিরপেক্ষ কেন্দ্রে। একটি ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল শহর খোদরো এফসি (ইরান) ও রিফফা (বাহরিন)-র। অন্য ম্যাচে এসতেগহলাল এফসি (ইরান) ও কুয়েত এসসি (কুয়েত) পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলত। সেই পোস্ট দিয়ে শুভাশিস, অনিরুদ্ধরা লেখেন, “অন্যদের জন্য নিরপেক্ষ কেন্দ্র হতে পারে, তবে কেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হবে না? শুধুমাত্র মোহনবাগান ভারতের দল বলে কিএই দ্বিচারিতা?”
এই অবস্থায় পুরো প্রতিযোগিতা থেকে বাতিল হওয়ার পাশাপাশি মোহনবাগানের আর্থিক জরিমানার সম্ভাবনাও রয়েছে। ভবিষ্যতে এএফসি প্রতিযোগিতা থেকে নির্বাসনও করা হতে পারে ভারতের ক্লাবকে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)