E-Paper

ফাইনালে রোনাল্ডোর অপেক্ষায় ইয়ামাল

বছরখানেক আগে ইউরো সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স ও স্পেন। সে বারও ইয়ামাল জাদুতে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল ফ্রান্সকে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৫ ০৭:৩৩
পরীক্ষা: এ বার দুরন্ত স্পেনের সামনে রোনাল্ডো।

পরীক্ষা: এ বার দুরন্ত স্পেনের সামনে রোনাল্ডো। —ফাইল চিত্র।

রুদ্ধশ্বাস সেমিফাইনাল। একটি ফুটবল ম্যাচে যা যা দরকার, সবই ছিল এই ম্যাচে। টান টান উত্তেজনার পরে শেষ হাসি হাসল ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নরা। ফ্রান্সকে ৫-৪ হারিয়ে এ বার নেশনস লিগের ফাইনালে পর্তুগালের মুখোমুখি স্পেন।বছরখানেক আগে ইউরো সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স ও স্পেন। সে বারও ইয়ামাল জাদুতে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল ফ্রান্সকে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচটা ফ্রান্সের জন্য বদলার ম্যাচ ছিল। কিন্তু কিলিয়ান এমবাপেরা বদলা নিতে পারলেন না। উল্টে একই রকম ফলাফলের পুনরাবৃত্তি করে ইয়ামালরা বুঝিয়ে দিলেন, এই মুহূর্তে ফ্রান্সের থেকে এগিয়ে তাঁরাই।বৃহস্পতিবার রাতে ম্যাচের প্রথম এক ঘণ্টা দাঁড়াতেই পারেনি ফ্রান্স। ৫৫ মিনিটের মধ্যেই ৪ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। ২২ মিনিটে নিকো উইলিয়ামস, ২৫ মিনিটে মিকেল মেরিনো, ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ইয়ামাল এবং ৫৫ মিনিটে পেদ্রি গোল করে স্পেনকে ৪ গোলে এগিয়ে দেন। তখনও মনে হচ্ছিল ম্যাচ বুঝি একপেশে ভাবে শেষ হবে। কিন্তু ফ্রান্সও যে এত দ্রুত লড়াই ছাড়ার দল নয় তা আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফাইনালেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন এমবাপেরা।৫৯ মিনিটে খেলার গতির বিপরীতে গিয়ে পেনাল্টি পেয়ে যায় ফ্রান্স। তাতে গোল করতে ভুল করেননি এমবাপে। সেখান থেকেই ফরাসিদের লড়াই শুরু। যদিও এরপর ৬৭ মিনিটে কার্যত একার দক্ষতায় অনবদ্য গোল করে ব্যবধান ফের চার গোলের করে দেন ইয়ামাল। তাতেও হার মানেনি ফ্রান্স। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে রায়ান চেরকি বিশ্বমানের গোল করে ব্যবধান কমান। খেলার ফল তখন ৫-২। মিনিট পাঁচেক বাদে ফের ব্যবধান কমায় ফ্রান্স। এ ক্ষেত্রে অবশ্য আত্মঘাতী গোল করে বসেন দানি ভিভিয়ান। এবং ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে ৫-৪ করেন কোলো মুয়ানি।

ফাইনালে রোনাল্ডোর মুখোমুখি হওয়া নিয়ে জানতে চাওয়া হলে ম্যাচ শেষে ইয়ামাল বলেছেন, ‘‘রোনাল্ডোর বিপক্ষে খেলার কথা বলছেন? ও তো একজন কিংবদন্তি। আমি আমার কাজটা করব, যেটা হচ্ছে ম্যাচ জেতানো।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘ফ্রান্স দলে বেশ কয়েক জন বিশ্বমানের ফুটবলার খেলল। ৬০ মিনিট পরেও ম্যাচের ফলাফল যে কোনও দিকে যেতে পারত। ওদের ফুটবলাররা যে কোনও দলকে ভোগাতে পারে। আমরা যে কারণে এগিয়ে থেকেও চাপের মধ্যে ছিলাম শেষপর্যন্ত।’’ ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী ইয়ামালের কথা, ‘‘স্পেন এবং পর্তুগাল, দু’দলই অসাধারণ। সেরা দলই জিতবে। আমি চাই কাপটা স্পেনে নিয়ে যেতে। শুধু আমি না, গোটা দলই সেটা চায়।’’

উল্লাস: কিলিয়ান এমবাপেদের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস জয়ের পরে লামিনে ইয়ামালরা।

উল্লাস: কিলিয়ান এমবাপেদের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস জয়ের পরে লামিনে ইয়ামালরা। ছবি: রয়টার্স।

এখানেই থামেননি বার্সেলোনার বিস্ময় ইয়ামল। আরও বলেছেন, ‘‘এটা বিশেষ একটা ম্যাচ, এমন একটা ফাইনাল যেখানে প্রতিপক্ষ দুর্দান্ত দল। এটা আমাদের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা। এই ধরনের ম্যাচেই নিজেকে প্রমাণ করতে চাই আমি।’’ হারলেও হতাশ নন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ে দেশঁ। তাঁর কথা, ‘‘ছেলেরা যে ভাবে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচে ফিরেছিল তা আমার কাছে বিস্ময়কর।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Cristiano Ronaldo Lamine Yamal

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy