মোহনবাগান ক্লাবে মারপিট।
ক্লাবের নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে হঠাৎই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল মোহনবাগান ক্লাবে। তাঁবুর বাইরেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেন দুই পক্ষ। ক্রিকেট ব্যাট, উইকেট নিয়ে চলে মারপিট। ঘটনার জেরে আহত হন তিন জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে এসেছে ময়দান থানার পুলিশ।
কী নিয়ে আক্রমণ, কারা একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণে জড়িয়ে পড়লেন সে ব্যাপারে কিছুই জানেন না ক্লাবকর্তারা। তাঁরা বুঝতেও পারছেন না আচমকা এ রকম পরিস্থিতি তৈরি হল কেন। সমর্থকরা একে অপরের বিরুদ্ধে মারপিট করা ছাড়াও ক্লাবের কর্তা সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়িতে ভাঙচুর চালান।
শনিবার ছিল মোহনবাগান ক্লাবে নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যেত। কিন্তু দুপুরের পর থেকেই ক্লাবের আশেপাশে ভিড় জমতে শুরু করে। পাঁচটা বাজার কিছুক্ষণ আগেই তুমুল ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। দলে দলে সমর্থক ব্যাট, উইকেট নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে থাকেন। তাঁরা কারা, কাদের সমর্থক বা কাদের নির্দেশে এমন কাজ করছেন তা এখনও জানা যায়নি।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতেই ক্লাবের ভিতরে থাকা কর্তারা ময়দান থানার পুলিশকে ফোন করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশের বিশাল বাহিনী চলে এসে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। পাশাপাশি পুলিশের বড় কর্তারা আশেপাশের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। কোথায় কোথায় কী ধরনের হামলা চালানো হয়েছে, কারা চোট পেয়েছেন সে সব তথ্য সংগ্রহ করেন তাঁরা। পাশাপাশি কারা এ ব্যাপারে জড়িত তাঁদের সন্ধান করা হচ্ছে।
পরে সত্যজিৎ সংবাদমাধ্যমে বলেন, “কী হয়েছে কারা করেছে সে ব্যাপারে কিছুই জানি না। শুধু শুনলাম আমার গাড়ির লুকিং গ্লাসটা ভাঙা হয়েছে। যা হয়েছে ক্লাবের বাইরে হয়েছে। ভিতরে কিছু হয়নি। তাই এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।” সত্যজিৎ এটাও জানালেন, গাড়ি ভাঙা নিয়ে পরবর্তী কোনও তদন্তে আগ্রহী নন তিনি।
ক্লাব কর্তা দেবাশিস দত্ত বলেন, “ক্লাবের বাইরে ঝামেলা হয়েছে। ক্লাবের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। মোহনবাগান ক্লাবের এক কোটি সমর্থক রয়েছে। আজ যদি কেউ বেলঘরিয়ায় বা গড়িয়াহাটে মারপিট, তা হলে কি আমি কিছু করতে পারব? আজ মনোনয়নের শেষ দিন। কার সঙ্গে কার কী সমস্যা রয়েছে সেটা তো বলতে পারব না। পুলিশ যে রকম তদন্ত করার সে রকম করবে। আমরা নিজে থেকে কিছু করব না।”
তবে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটেছে এটা মানতে রাজি নন দেবাশিস। বলেছেন, “নির্বিঘ্নে, শান্তিতে মনোনয়ন হয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy