আইএসএলের ব্যর্থতার পর এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগেও হারল ইস্টবেঙ্গল। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম পর্বের ম্যাচে ঘরের মাঠে তুর্কমেনিস্তানের ক্লাব এফসি আর্কাদাগের কাছে ০-১ গোলে হারল তারা। এই হারের ফলে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই কঠিন হল লাল-হলুদের।
আইএসএলে ব্যর্থতার জবাব চ্যালেঞ্জ লিগে দেওয়ার সুযোগ ছিল ইস্টবেঙ্গলের। কোচ অস্কার ব্রুজ়ো আইএসএলের মাঝে জানিয়েছিলেন, এএফসি প্রতিযোগিতাকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম পর্বের খেলা ঘরের মাঠে হওয়ায় সুবিধা ছিল লাল-হলুদের। জিততে পারলে পরের পর্বের আগে আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে থাকত।
খেলার শুরুটাও ভাল করেছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রথম কয়েক মিনিটেই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায় তারা। কিন্তু রক্ষণের ভুল আরও এক বার ধাক্কা দিল লাল-হলুদকে। ঠিক যেমনটা আইএসএলে হয়েছে, সেই ছবিই দেখা গেল এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে। ১০ মিনিটের মাথায় লাল-হলুদ রক্ষণের ভুল কাজে লাগিয়ে গোল করলেন গুর্বানভ। তাঁর শট বাঁচাতে পারেননি প্রভসুখন গিল। পোস্ট ঘেঁষে বল জালে জড়িয়ে যায়।
ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠে অনেক পাস খেলছিল। আক্রমণেও উঠছিল। কিন্তু প্রতিপক্ষের বক্সে সেই আক্রমণ খেই হারিয়ে ফেলছিল। গোলের মুখ খুলতে পারছিলেন না মেসি বৌলি, দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোসরা। তুর্কমেনিস্তান ফিফা ক্রমতালিকায় ভারতের পিছনে থাকলেও আর্কাগাদ সেখানকার লিগজয়ী দল। গত বার লিগে ৩০টি ম্যাচের মধ্যে ৩০টিতেই জিতেছে তারা। ফলে ইস্টবেঙ্গলকে সহজে আক্রমণ করতে দিচ্ছিল না তারা।
আরও পড়ুন:
দ্বিতীয়ার্ধেও একই ছবি। দু’দলই মাঠমাঠের দখল নিয়ে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিল। ঘরের মাঠে সমর্থনের কোনও অভাব ছিল না ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু সেই সমর্থন কাজে লাগাতে পারছিল না তারা। বেশি কিছু কর্নার পায় ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকে গোল করতে পারেনি তারা। কয়েক বার সুযোগ নষ্ট করেছেন মেসি, পিভি বিষ্ণুরা। বক্সের মধ্যে থেকে বল উড়িয়ে দিয়েছেন। তার খেসারত দিতে হয়েছে দলকে।
সময় যত গড়াচ্ছিল তত খেলার উত্তাপ বাড়ছিল। মাঝেমাধ্যে মেজাজ হারাচ্ছিলেন ফুটবলারেরা। মাঠে ধাক্কাধাক্কি চলছিল। খেলার সংযুক্তি সময়ের একেবারে শেষ দিকে সমতা ফেরানোর সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু বিষ্ণুর ক্রস সাউল ক্রেসপো মারার আগেই বল ধরে নেন আর্কাদাগের গোলরক্ষক। শেষ পর্যন্ত ০-১ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় লাল-হলুদকে।
১২ মার্চ কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের খেলা। তুর্কমেনিস্তানের মাঠে গিয়ে খেলতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। সেখানে জিতে সেমিফাইনালে ওঠা কঠিন। এখন দেখার সাত দিন পর বিদেশের মাটিতে লাল-হলুদ কেমন খেলে।