সতীর্থদের সঙ্গে বরাবরই সম্পর্ক ভাল তাঁর। তিনি নেতা। তিনি দলের সেরা ফুটবলার। সতীর্থদের আগলে রাখেন। সেই লিয়োনেল মেসির সঙ্গে বার্সেলোনায় খেলার সময় অস্বস্তিতে পড়েছিলেন তাঁর সতীর্থ ফ্রান্সিস্কো ট্রিঙ্কাও। প্রতি বার দেখা হতেই নাকি মেসি তাঁকে চুমু খেতেন।
২০২১ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিস সঁ জরমঁ-এ যোগ দেন মেসি। শেষ মরসুমে তাঁর সঙ্গে খেলেছিলেন ফ্রান্সিস্কো। দলের অনুশীলনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন মেসির চুমু খাওয়ার অভ্যাসের কথা। ফ্রান্সিস্কো বলেন, “প্রথম প্রথন একটু অবাক হয়েছিলাম। অস্বস্তি হত। প্রতি দিন মাঠে দেখা হলেই মেসি চুমু খেত। অবশ্য আমি ওকে কোনও দিন কিছু বলিনি।”
আরও পড়ুন:
পরে অবশ্য মেসির এই ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মেসির কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছিলেন তিনি। ফ্রান্সিস্কো বলেন, “কিন্তু প্রথম কয়েক সপ্তাহ একটু সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু পরে আমার অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। মাঠে অবশ্য মেসি খুব শান্ত থাকত। যখন কিছু বলত, আমরা মন দিয়ে শুনতাম। ওর কাছে অনেক কিছু শিখেছি।”
আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ের ফুটবলারদের মধ্যে সতীর্থকে চুমু খাওয়া খুবই সাধারণ বিষয়। প্রথম বার দেখা হলে চুমু খেয়েই একে অপরকে সম্ভাষণ করেন তাঁরা। সেই কারণেই হয়তো মেসি তাঁর সতীর্থদের চুমু খেতেন। বার্সা ছেড়ে পিএসজি হয়ে এখন আমেরিকার ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে খেলেন মেসি। সেখানে তাঁর পুরনো তিন সতীর্থ লুই সুয়ারেস, জর্ডি আলবা ও সের্খিয়ো বুস্কেৎসকে পেয়েছেন মেসি।