মাঠের ভিতরে শুধু নয়, বাইরেও বিপর্যস্ত ইস্টবেঙ্গল। ১৯টি ম্যাচ থেকে ১৮ পয়েন্ট অর্জন করে একাদশ স্থানে শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব। ঘরের মাঠে চেন্নাইয়িন এফসি-র কাছে হারের পরে সুপার সিক্সে যোগ্যতা অর্জনের আশা কার্যত শেষ। এই অবস্থায় মহমেডানের বিরুদ্ধে ফিরতি ডার্বির পাঁচ দিন আগে সতীর্থদের কাছ থেকে যথেষ্ট সাহায্য না পাওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস!
আইএসএলে গত মরসুমে কেরল ব্লাস্টার্সের হয়ে ১৭ ম্যাচে ১৩টি গোল করে সোনার বুট জিতেছিলেন তিনি। অথচ ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে এই মরসুমে আইএসএলে এখনও পর্যন্ত ১৫ ম্যাচে গোল করেছেন মাত্র তিনটি। হঠাৎ কী হল? আইএসএলের ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘ইন দ্য স্ট্যান্ডস’-এ দিমিত্রিয়সের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, ‘‘কেরলে সতীর্থরা আমাকে খুব ভাল করে চিনত। লুনা (আদ্রিয়ান) এবং অন্যান্যরা জানত, ঠিক কোন জায়গায় আমি বল চাই। আমাদের বোঝাপড়া এতটাই দুর্দান্ত ছিল যে, একে অপরের দিকে তাকানোর প্রয়োজনও হত না। কেরলে প্রথম মরসুমে বেশি গোল করতে পারিনি (২১ ম্যাচে ১০ গোল)। বোঝাপড়া গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।’’
ইস্টবেঙ্গলে এত দিনেও কেন বোঝাপড়া গড়ে উঠল না? গ্রিক স্ট্রাইকার বলছেন, ‘‘এখানে (ইস্টবেঙ্গল) এখনও একে অপরকে জানার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। কারণ, মাঝেমধ্যেই ওরা আমার খেলার ধরন বুঝতে পারছে না। আমি শুধু চাই ওরা ঠিক মতো পাস দিক। আমাকে যদি ঠিক জায়গায় বল দাও, গোল করব।’’ আরও বলেছেন, ‘‘মাধি তালালের সঙ্গে খুব ভাল বোঝাপড়া গড়ে উঠেছিল। কিন্তু ওকে আমরাই খুইয়েছি। অবশ্য সাউল ক্রেসপোর সঙ্গেও বোঝাপড়া ভাল।’’ এর পরেই যোগ করেন, ‘‘প্রতিটি ম্যাচেই সতীর্থরা আমাকে ক্রমশ বুঝতে পারছে। আমার দায়িত্ব ওদের বোঝা। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, দলের জয়। আমার পরিবর্তে অন্য কেউ গোল করলেও দুঃখ নেই।’’
যুবভারতীতে চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে ০-৩ হারের পরে দিমিত্রিয়স, ক্রেসপোকে ছেঁটে ফেলার দাবিতে সরব হন ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। হতাশ দিমিত্রিয়স বলছেন, ‘‘সব ম্যাচে সেরা ছন্দে থাকা সম্ভব নয়। এমনকি কেউ চাইলেও তা পারে না। যাঁরা ফুটবল দেখেন, তাঁদের অনেকেই তা বোঝেন না। কারও একটা দিন খারাপ যেতেই পারে। সমর্থকেরা শুধু জিততে চায়। জিততে না পারলেই ওঁরা অপমান করেন।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)