পর্যবেক্ষণ: চিন্নাস্বামীর পিচ দেখছেন কোচ কুম্বলে ও বাঙ্গার। ছবি: পিটিআই।
বেঙ্গালুরু টেস্টের আগে অস্ট্রেলিয়া যে গর্ব করার জায়গায় আছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আমরা শুনেছি, কী ভাবে ভারতীয় ব্যাটসম্যানেরা চাপে পড়ে গিয়েছিল। কী ভাবে ভারতীয় স্পিনারদের রহস্য ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। পুণের মাঠে ভারতীয় ক্রিকেটারদের কতটা ছন্নছাড়া দেখিয়েছিল। বেঙ্গালুরুতে এই রকম পাঁচটা দিন যদি আর আসে, তা হলে একটা জিনিস নিশ্চিত হয়ে যাবে। অস্ট্রেলিয়া আর সিরিজটা হারবে না।
আমি যেটা আগেও বলেছি, সেটা আরও একবার বলতে চাই। বিরাট কোহালিদের পুণে-কাণ্ড সম্পূর্ণ ভুলে যেতে হবে। আঘাতটাকে মুছে ফেলতে হবে। মাথাটা পরিষ্কার থাকলে ঠিকঠাক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। যন্ত্রণা বিদ্ধ হয়ে নামলে, মাথাটা গরম থাকলে কিন্তু মাঠে তার প্রভাব পড়বে। চিন্নাস্বামীতে পাঁচটা দিন পেশাদারি মানসিকতা দেখিয়ে ক্রিকেটটা খেলতে হবে। ফলটা তা হলেই পাওয়া যাবে।
স্টিভ ও’কিফকে নিয়ে মাতামাতির মধ্যে একটা জিনিস কিন্তু ভারতকে ভুললে চলবে না। অস্ট্রেলিয়ার জমাট ব্যাটিং লাইন। পুণেতে ওই পিচে ওরা দুর্দান্ত খেলেছে। হতে পারে দুবাইয়ে ওরা যে ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিল, সেটা দারুণ ভাবে কাজে এসেছে। বা হয়তো স্থানীয় পরিবেশ সম্পর্কে ওরা খুব ভাল ওয়াকিবহাল, তাই মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়নি। যেটাই হোক, স্টিভ স্মিথদের দেখে মনে হয়েছে, প্রস্তুতি পর্বের ফলটা ওরা পাচ্ছে।
বেঙ্গালুরুতে কিন্তু ভারতকে ঢিলে দিলে চলবে না। প্রথম বল থেকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এক দল শিকারি হাউন্ডের মতো শিকারকে ঘিরে ফেলতে হবে। পুণেতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের শরীরীভাষা দেখে একেবারেই ভরসা পাওয়া যায়নি। ওয়ার্নার বা স্মিথের ব্যাটিংয়ের সময় কিছু ঘটার অপেক্ষায় থাকলে চলবে না। তেমনই ও’কিফকে খেলার সময় প্রথাগত ব্যাটিংয়ের বাইরে বেরিয়ে আসতে হবে। বোঝাতে হবে, কোহালি একা এই ব্যাটিংয়ের সব কিছু নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy