Advertisement
E-Paper

লন্ডনে প্রয়াত প্রাক্তন ক্রিকেটার গোপাল বসু

প্রাক্তন ক্রিকেটার গোপাল বসু প্রয়াত। লন্ডনে রবিবার ভোরবেলায় মৃত্যু হয় তাঁর। প্রাক্তন ওপেনার জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন একটি একদিনের ম্যাচ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৮ ১১:৫৩
গোপাল বসু।

গোপাল বসু।

৭১ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন বাংলার ক্রিকেটার গোপাল বসু। লন্ডনের একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই খবরে বাংলা ক্রিকেটমহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

হাঁপানি ও কিডনির সমস্যা ছিলই। সম্প্রতি লন্ডনে গিয়ে বুকে ব্যথা শুরু হয়। সেখানেই একটি হাসপাতালে ভর্তি করান তাঁর ছেলে অরিজিৎ বসু। রাখা হয় আইসিইউ-তে। রবিবার ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। সস্ত্রীক লন্ডনে বেড়াতে গিয়েছিলেন গোপাল বসু। কয়েক দিন আগে তাঁর শারীরিক সমস্যা শুরু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়। ৭২ ঘণ্টা থাকার পর চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন। কিন্তু রবিবার ভোরে অবস্থার অবনতি হয়।

সাতের দশকে সুনীল গাওস্করের সঙ্গী ওপেনার হিসেবে বিবেচিত হত তাঁর নাম। যদিও নানা কারণে টেস্টে অভিষেক হয়নি। তবে শ্রীলঙ্কায় বেসরকারি টেস্টে খেলেছিলেন। এবং ওপেন করতে নেমে গাওস্করের সঙ্গে ১৯৪ রান যোগ করেছিলেন। পেয়েছিলেন শতরানও। বরাবরই স্পষ্টভাষী ছিলেন, যে কোনও অন্যায়ের প্রতিবাদে গর্জেও উঠতেন। আপোস করতেন না। সেই কারণে অনেক দরজা বন্ধও হয়ে গিয়েছিল। ১৯৭৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন। সুযোগ পেয়েছিলেন একটি ওয়ানডে ম্যাচে। তাতে ১৩ করেন। পুরো ১১ ওভার বল করে নিয়েছিলেন ডেভিড লয়েডের উইকেট। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর সুযোগ পাননি।

আরও পড়ুন: “এখন শুরু করলে মুখ বন্ধ রেখে ক্রিকেট খেলতাম”​

আরও পড়ুন: ‘কোহালিরাও ইতিহাস তৈরি করতে পারে’

শুরুতে অফস্পিন করতেন। কিন্তু বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় জোর দেন ব্যাটিংয়ে। বড় ইনিংস খেলার ধৈর্য ছিল। চশমা পরা ওপেনার ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার হয়ে বেশ সাফল্যও পেয়েছিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৭৮ ম্যাচে ৩৭৫৭ রান করেছেন তিনি। গড় ৩০.৭৯। আটটি শতরান রয়েছে তাঁর। সর্বাধিক ১৭০। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রয়েছে ৭২ উইকেটও। সাতের দশকেই ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন।

খেলা ছাড়ার পরও ক্রিকেটের সঙ্গে ছিলেন জড়িয়ে । বাংলার নির্বাচক হয়েছিলেন। জুনিয়ার পর্যায়ে কোচিংও করিয়েছেন বাংলা দলে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রণদেব বসুর মতো অনেক ক্রিকেটারের উঠে আসার নেপথ্যে অবদান ছিল তাঁর। ২০০৮ সালে বিরাট কোহালির নেতৃত্বে ভারতের যে দল অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, তাঁর ম্যানেজারও ছিলেন তিনি। ক্রিকেটজীবনে টেস্ট ক্যাপ না জুটলেও ম্যানেজার হিসেবে পেয়েছিলেন বিশ্বজয়ীর পদক। যা কিছুটা প্রলেপ হয়ে উঠেছিল যন্ত্রণায়।

আরও পড়ুন: গাওস্কর-সচিন-রাহুল-বিরাট, বিদেশে টেস্টে কার কী রেকর্ড

আরও পড়ুন: রেলের কড়া বার্তা সত্ত্বেও আশ্বাস সৌরভের

(ক্রিকেটের খবর,ফুটবলের খবর, টেনিসের খবর, হকির খবর - খেলার খবরের সেরা ঠিকানা আমাদের খেলা বিভাগ।)

Gopal Basu Cricket Cricketer Death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy