বিপর্যয়: হারের হতাশা কাটছে না সনি, ডাফিদের। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
আই লিগের পরে ফেডারেশন কাপ— জোড়া বিপর্যয়ের জেরে সবুজ-মেরুন অন্দরমহলের ছবিটাই সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালের উড়ানে ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় ফেরেন বিধ্বস্ত সনি নর্দে, ড্যারেল ডাফি-রা। একসঙ্গে সকলের টিকিট না পাওয়ায় কোচ সঞ্জয় সেন অবশ্য কয়েক জন সাপোর্ট স্টাফকে নিয়ে ফিরলেন গাড়ি ভাড়া করে! রবিবার রাতে বরাবাটি স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরদ্ধে হারের পর মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত সনি কোনও কথা না বলেই টিম বাসে উঠে পড়েছিলেন। সারারাত ঘুমোতেও পারেননি সবুজ-মেরুন তারকা। হতাশ সনি এ দিন বললেন, ‘‘গত তিন বছরের মধ্যে এটাই আমাদের সেরা দল ছিল। তা সত্ত্বেও মরসুম শেষ করলাম কোনও ট্রফি না পেয়ে। আই লিগ হাতছাড়া করেছিলাম মাত্র এক পয়েন্টের জন্য। ফেডারেশন কাপ জিতলে সেই যন্ত্রণা হয়তো একটু কমত।’’ ফেডারেশন কাপে দুর্দান্ত শুরু করেও ফাইনালে মুখ থুবড়ে পড়ার কারণ কী? সনি-র ব্যাখ্যা, ‘‘এমন এক একটা দিন আসে, যে দিন কোনও কিছুই সঠিক হয় না। ফেডারেশন কাপ ফাইনালে আমাদের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। কেন যে এ রকম হল তার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। এটা দুর্ভাগ্যই।’’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘সবচেয়ে খারাপ লাগছে সমর্থকদের জন্য। ওদের একটা ট্রফি দিয়ে মরসুম শেষ করার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল।’’ সেই সঙ্গে সনি দাবি করলেন, ‘‘আই লিগ ও ফেডারেশন কাপে আমরাই ছিলাম সেরা দল। কিন্তু দু’টো টুর্নামেন্টেই দ্বিতীয় স্থানে শেষ করলাম।’’
ভারতীয় ফুটবলে মরসুম শেষ হয়ে গেলেও মোহনবাগানের এখনও একটা ম্যাচ বাকি আছে। ৩১ মে ঢাকায় এএফসি কাপে কাতসুমি ইউসা-দের প্রতিপক্ষ আবাহনী। মোহনবাগান অবশ্য এই টুর্নামেন্ট থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছে। ফলে নিয়মরক্ষার ম্যাচে প্রথম দলের অনেকেই হয়তো খেলবেন না।
আগামী মরসুমের দল নিয়েও জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। আইএসএলে না খেললে চার বিদেশিরই সবুজ-মেরুন ছাড়ার সম্ভাবনা প্রবল। জেজে লালপেখলুয়া, বলবন্ত সিংহ-দের মতো ভারতীয় তারকারাও চলে যেতে পারেন অন্য ক্লাবে। সংশয় বাড়ছে কোচের ভবিষ্যৎ নিয়েও। ৩১ মে সঞ্জয়ের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে মোহনবাগানের। তার পরে কী হবে? সঞ্জয় বলেছেন, ‘‘চুক্তি শেষ হওয়ার আগে পরের মরসুম নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy