টানা দ্বিতীয় বার গুকেশের কাছে হারের পরে ম্যাগনাস কার্লসেনের আধিপত্য নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। মনে করছেন কিংবদন্তি দাবাড়ু গ্যারি কাসপারভ।
১৯ বছর বয়সি গুকেশ মাস খানেকও হয়নি নরওয়ে দাবা প্রতিযোগিতায় হারিয়েছিলেন বিশ্বের এক নম্বর কার্লসেনকে। নরওয়ের চ্যাম্পিয়ন নিজের দেশে সেই হার মেনে নিতে না পেরে টেবিলে ঘুসি মেরে বসেন। যে ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজমাধ্যমে।
বৃহস্পতিবার প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কার্লসেনকে ফের হারান গুকেশ। এ বার ক্রোয়েশিয়ায় সুপার ইউনাইটেড র্যাপিড ও ব্লিৎজ় প্রতিযোগিতায় র্যাপিড বিভাগে। যা গ্র্যান্ড চেস ট্যুরের অংশ। প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গ্যারি কাসপারভ, যিনি ধারাভাষ্যকারের দায়িত্বে আছেন তিনি বলেছেন, ‘‘এ বার আমরা ম্যাগনাসের আধিপত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারি। এই নিয়ে শুধু দ্বিতীয়বারই ম্যাগনাস হারল না, গুকেশ ওকে দাপটে হারিয়েছে।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘অলৌকিক ভাবে যে গুকেশ জিতে গিয়েছে, এমন বলা যাবে না। খুব বড় লড়াই ছিল এই গেমটায়, আর তাতে ম্যাগনাসহেরে গিয়েছে।’’
এই প্রতিযোগিতার শুরুতে কার্লসেন শুধু গুকেশের যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেননি একই সঙ্গে বলেছিলেন, ভারতীয় দাবাড়ুর সঙ্গে তিনটি ম্যাচ (একটি র্যাপিডে, দুটি ব্লিৎজ় বিভাগে) যে খেলবেন মনে করবেন কোনও ‘‘দুর্বল’’ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলছেন। কার্লসেন হয়তো ভাবতে পারেননি, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গুকেশ তার জবাব এ ভাবে দেবেন এবং দাপটে র্যাপিড বিভাগেচ্যাম্পিয়ন হবেন।
শুক্রবার শেষ তিনটি রাউন্ডে গুকেশ দুটি ড্র করেন যথাক্রমে অনীশ গিরি ও ক্রোয়েশিয়ার ইভান আরিচের বিরুদ্ধে। এ পরে শেষ রাউন্ডে ওয়েসলি সো-কে হারিয়ে সম্ভাব্য ১৮ পয়েন্টের মধ্যে পান ১৪। পোল্যান্ডের ইয়ান-ক্রিস্টোফ ডুডা দ্বিতীয় (১১ পয়েন্ট), কার্লসেন শেষ করেন তৃতীয় স্থানে (১০ পয়েন্ট), প্রজ্ঞানন্দচতুর্থ (৯ পয়েন্ট)।
শুধু ম্যাগনাসকে হারানোই নয়, প্রতিযোগিতার দু’দিনে ছয় রাউন্ডের মধ্যে টানা পাঁচটি জিতে গুকেশ ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছিলেন দ্বিতীয় দিনের শেষে। হারের ধাক্কায় হতাশ ম্যাগনাসকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি দাবা খেলাটা এখন উপভোগ করতে পারছি না। চাল দিতে গিয়ে ক্রমাগত থমকাচ্ছি। চাল দেওয়ার স্বাভাবিক ছন্দটাও পাচ্ছি না। তবে গুকেশ এই ফর্ম্যাটে দুরন্ত খেলছে। টানা পাঁচটা গেম জেতাটা ছোটখাটো ব্যাপার নয়। খারাপ খেলেছি।ফলও পেয়েছি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)