উৎসব: গোলের পরে সতীর্থ দিয়োগোর সঙ্গে উল্লাস ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। রবিবার লুক্সেমবুর্গে। এএফপি
ইউরো ২০২০-র মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, পর্তুগাল, ক্রোয়েশিয়া ও অস্ট্রিয়া। পরের বছরের ১২ জুন ইটালিতে মূল টুর্নামেন্ট শুরু। খেলবে ২৪ দেশ। ইতিমধ্যে যোগ্যতা অর্জন করেছে ১৬ দেশ। যার মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, স্পেন, ইটালি, ইংল্যান্ডের মতো বড় নাম।
নেদারল্যান্ডস শেষ বড় টুর্নামেন্টের মূলপর্বে খেলে ২০১৪-র বিশ্বকাপে। এ বারের ইউরোর মূল লড়াইয়ে অংশ নিতে দরকার ছিল এক পয়েন্ট। শনিবার তারা বেলফাস্টে উত্তর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ০-০ ড্র করে। ডাচ ডিফেন্ডার ভার্জিল ফান দিক বলেন, ‘‘এই সাফল্য দলের কাছে বিরাট ব্যাপার।’’ পাশাপাশি জার্মানি টানা ১৩ বার মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল। নিজেদের মাঠে তারা ৪-০ হারিয়েছে বেলারুশকে। জোড়া গোল করেন টোনি খোস। অসাধারণ গোলরক্ষা করলেন মানুয়েল নয়্যার। খোস বললেন, ‘‘গ্রুপে খুব খারাপ খেলিনি। তবে ট্রফি জয়ের ব্যাপারে আমরা ফেভারিট নই।’’
লুক্সেমবুর্গকে ২-০ হারিয়ে পর্তুগাল মূলপর্বে উঠলেও দেশের হয়ে শততম গোলের জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে। এ দিন তিনি ৯৯তম গোলটি অবশ্য করেছেন। পর্তুগালের অন্য গোলটি করেন ব্রুনো ফার্নান্দেস। প্রতিপক্ষ দুর্বল হলেও এই ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল গত বারের চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালের কাছে। গ্রুপে দ্বিতীয় দল হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করতে তাদের জিততেই হত।
ক্রোয়েশিয়া মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত করল স্লোভাকিয়াকে ৩-১ হারিয়ে। ম্যাচ ড্র করলেই লুকা মদ্রিচরা যোগ্যতা অর্জন করত। ৩২ মিনিটে স্লোভাকিয়া ১-০ করে ফেলে। ক্রোয়েশিয়ার তিনটি গোল ৫৬, ৬০ ও ৭৪ মিনিটে করেন নিকোলা ভ্লাসিচ, ব্রুনো পেতকোভিচ ও ইভান পেরিসিচ। পেতকোভিচ বলেন, ‘‘বিরতিতে মাথা ঠান্ডা রেখেছি। জানতাম হেরে গেলে ছিটকে যেতে হবে। জয়ের ব্যাপারেও আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। শেষ ৪৫ মিনিট টানা আক্রমণ করার রণনীতি নিই।’’ অস্ট্রিয়া যোগ্যতা অর্জন করল উত্তর ম্যাসেডোনিয়াকে ২-১ হারিয়ে। আর নিয়মরক্ষার খেলায় ইংল্যান্ড ৪-০ হারাল কসোভোকে। গোল করলেন হ্যারি উইঙ্কস, হ্যারি কেন, মার্কাস র্যাশফোর্ড ও ম্যাসন মাউন্ট। ম্যাচে খেলানো হল আগের ম্যাচে বাদ পড়া রাহিম স্টার্লিংকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy