চায়ের আড্ডায় কেদার-ধওয়ন-ধোনি। রবিবার।—ছবি টুইটার।
সিডনিতে হারের পরে এ বার ওয়ান ডে-র লড়াই অ্যাডিলেডে। রবিবারই অ্যাডিলেডে চলে এসেছেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। তার আগে সিডনিতে প্রথম ম্যাচের পরে রোহিত শর্মা বলেছেন, এই হার থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
সিডনিতে ম্যাচের পরে বিসিসিআই টিভি-র হয়ে যুজবেন্দ্র চহাল সাক্ষাৎকার নেন রোহিতের। সেখানে রোহিত বলেন, ‘‘আমরা জানতাম, তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে রান তোলাটা এই পিচে সোজা হবে না। নতুন ব্যাটসম্যান এসে এখানে শুরু থেকেই শট খেলতে পারবে না। তা ছাড়া বলটা পুরনো হওয়ার পরে অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা রিভার্স সুইংও পাচ্ছিল।’’
এই হার থেকে পাওয়া শিক্ষাটা যে মঙ্গলবার অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে কাজে লাগাতে হবে, তা মনে করিয়ে দেন রোহিত। বলেন, ‘‘আমাদের এই হার থেকে শিক্ষা নিতে হবে। শুরুতে তিন উইকেট পড়ে গেলে কী ভাবে খেলা উচিত, সেটা আমরা বুঝতে পারলাম। আমাদের চাপটা সামলাতে হবে। আশা করব, সিরিজের পরের দু’টো ম্যাচে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।’’
প্রথম ওয়ান ডে-তে নামার আগে অস্ট্রেলীয় বোলারদের ভিডিয়ো দেখে প্রস্তুতি নিয়েছিল ভারত। রোহিতের কথায়, ‘‘আমরা জানতাম, অস্ট্রেলিয়ার নতুন বলের দুই বোলার বেশ ভাল। ওদের এক জনের হাতে আউটসুইং আছে, অন্য জন বল ভিতরে নিয়ে আসতে পারে। আমরা ওদের বোলিংয়ের ভিডিয়ো দেখেছিলাম।’’ রান তাড়া করতে নামার সময় কী ভেবেছিলেন? চহালের প্রশ্নের জবাবে রোহিত বলেন, ‘‘আমি আর শিখর (ধওয়ন) ঠিক করে নিয়েছিলাম, নতুন বলটা দেখে খেলব। সেটাই আমাদের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু হল না, কী আর করা যাবে। মাঝে মাঝে এমন ব্যাপার হয়েই যায়।’’
প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া রোহিত আরও একটা কথা মনে করিয়ে দিতে চান। তাঁর মন্তব্য, ‘‘শুরুতেই আমাদের তিন ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু কেউই উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেনি। কেউ খারাপ শট খেলেনি। ভাল বলেই আউট হয়েছে।’’
নজরে তরুণরা: গত বছর আইপিএলে ও তার পরে ভারত ‘এ’-র হয়ে বিদেশ সফরে এবং সম্প্রতি ঘরোয়া ক্রিকেটে শুভমন গিলের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্য তাঁকে ভারতের সিনিয়র দলের নিউজ়িল্যান্ড সফরে রাখা হয়েছে। ‘এ’ দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত তাঁরা নিয়েছেন বলে জানালেন নির্বাচকদের প্রধান এমএসকে প্রসাদ। পৃথ্বী শ, হনুমা বিহারী, মায়াঙ্ক আগরওয়ালদের মতো নতুন ক্রিকেটারদের নিয়ে বেশ খুশি নির্বাচক প্রধান। রবিবার সংবাদ সংস্থাকে প্রসাদ বলেন, ‘‘শাস্ত্রী, দ্রাবিড়ের সঙ্গে নিয়মিত তরুণদের নিয়ে আলোচনা হয়। ওদের নিয়ে পরিকল্পনা তৈরি করি। যাতে সর্বোচ্চ স্তরে ওদের কোনও সমস্যা না হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy