বেঙ্গালুরু ১৮০/২ (২০ ওভার)
গুজরাত ১৮২/৪ (১৯.৩/২০ ওভার)
৩ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে দিল গুজরাত
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। ব্যাট হাতে করেছিলেন ১০০। তাও কাজে লাগল না। ৩ বল বাকি থাকতে গুজরাতের কাছে ৬ উইকেটে হেরে গেল বেঙ্গালুরু। শেন ওয়াটসনকে নিয়ে বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং শুরু করতে নেমেছিলেন কোহলি। কিন্তু ওয়াটসন ভরসা দিতে ব্যর্থ হন। মাত্র ৬ রান করেই তিনি ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। এর পর অধিনায়ককে ভরসা দিতে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি ক্রিজে। ১৬ বলে ২০ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত বিরাটের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই চালান লোকেশ রাহুল। ৩টি ওভার বাউন্ডারি ও ৪টি বাউন্ডারির সৌজন্যে ৩৫ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। থাকেন অপরাজিত। উল্টোদিকে তখন বিধ্বংসী মেজাজে বিরাট কোহলি। তাঁর ১১টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারিকে সঙ্গে নিয়ে ততক্ষণে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন সেঞ্চুরিতে। খেলেছেন মাত্র ৬৩ বল। নির্ধারিত ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান তুলে ফেলেছে বেঙ্গালুরু। সুরেশ রায়নার সামনে তখন ১৮১ রানের টার্গেট।
জবাবে ব্যাট করতে এসে ডোয়েন স্মিথের ২১ বলে ৩২ ও ব্রেন্ডন ম্যাকালামের ২৪ বলে ৪২ রানের সুবাদে শুরুটা ভালই হয়েছিল আইপিএল-এর নবাগত দলের। যেমন শুরু তেমনই শেষ। দুই বিদেশি ওপেনার আউট হতেই গুজরাত ইনিংসের হাল ধরতে নামেন অধিনায়ক সুরেশ রায়না ও দীনেশ কার্তিক। কিন্তু ২৮ রান করেই প্যাভেলিয়নে ফিরে যান রায়না। এর পর বাকি কাজটি করে দেন দীনেশ কার্তিক। যখন রায়না আউট হন তখনও গুজরাতের সামনে ৪২ রানের লক্ষ্য। হাতে রয়েছে ২৬ বল। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন কার্তিক। ৩৯ বলে অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ১৯.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় গুজরাত লায়ন্স। কোহলির দুরন্ত ব্যাটিংয়ের পরও বোলিং দুর্বলতার জন্যই হারের মুখ দেখতে হল বেঙ্গালুরুকে। কেন রিচার্ডসন এক উইকেট নিলেও ৪ ওভারে দিলেন ৫৩ রান। বোলিংই হারিয়ে দিল বেঙ্গালুরুকে।
আরও খবর
বেঙ্গালুরুর ১৮০, বিরাট একাই ১০০