Advertisement
E-Paper

অধিনায়ক আফ্রিদির উপর জন্মদিনেও কালো মেঘে ভরা আকাশ

উইকিপিডিয়া অনুযায়ী শাহিদ আফ্রিদির ছত্রিশতম জন্মদিন ছিল মঙ্গলবার। নিজে অবশ্য ঘনিষ্ঠদের কাছে মুচকি হাসিতে বারবার মেনে নেন, কোনও সরকারি নথিপত্র দিয়ে তাঁর বয়স নির্ধারণ করাটা তীব্র বুদ্ধিমত্তার পরিচয় নয়।

গৌতম ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৬ ০৩:১৬

উইকিপিডিয়া অনুযায়ী শাহিদ আফ্রিদির ছত্রিশতম জন্মদিন ছিল মঙ্গলবার। নিজে অবশ্য ঘনিষ্ঠদের কাছে মুচকি হাসিতে বারবার মেনে নেন, কোনও সরকারি নথিপত্র দিয়ে তাঁর বয়স নির্ধারণ করাটা তীব্র বুদ্ধিমত্তার পরিচয় নয়।

যা শুনলাম, তাঁর বয়স এখন চল্লিশ। কেউ কেউ বললেন, এক বাড়ালেও ও আপনার নামে মামলা করবে না।

এহেন আফ্রিদিকে পাকিস্তান টিমের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট টেবলে দেখতে পেলাম না। তাঁর পরিবারের লোকেরা এখানে এসেছেন। তাঁদের নিয়ে এই বিশেষ দিনটা কাটালেন বোঝা গেল। কিন্তু ব্রেকফাস্টের ফাঁকে টিম কোচ ওয়াকার ইউনিস দল সংক্রান্ত যে জরুরি বৈঠক তাঁর ম্যানেজমেন্ট টিমের সঙ্গে করছিলেন, তাতেও আফ্রিদি নেই দেখে আশ্চর্য লাগল।

শুনলাম এই বৈঠকের একটা মূল বিষয় মহম্মদ হাফিজের বিশৃঙ্খল মনোভাব। একে তো পাকিস্তানের প্রাক্তন এই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক রান পাচ্ছেন না। তার ওপর দলের মনোবল তিনি নষ্ট করছেন বলে অভিযোগ। পাকিস্তান যদি বুধবারের বহু প্রতীক্ষিত সংঘাতে বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনাল চলে যায়। হাফিজ রান পান তো অন্য কথা। ঠিক এই মুহূর্তে তাঁর ওপর পাকিস্তান টিম থেকে চিরতরে বাদ হয়ে যাওয়ার খাঁড়া ঝুলছে। পাকিস্তান তার প্লেয়ারদের আগাম জানিয়ে দিয়েছে, ৬ মার্চ পর্যন্ত তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল বদলাতে পারে।

কয়েক বছর আগেই জাতীয় দলে আফ্রিদির জায়গাটা চলে গিয়েছে। ও কবে কেমন খেলবে, কেউ জানে না। এ রকম প্লেয়ারের দলে থাকার কী মানে? এমন একজন টিমের ক্যাপ্টেন যে কয়েক বছর আগে নির্ভরযোগ্যতা হারিয়েছে। এর পরেও কী করে আশা করা হচ্ছে যে, টিম জিতবে বা উন্নতি করবে? জাভেদ মিয়াঁদাদ

গতকাল আফ্রিদি বলছিলেন তিনি এখন অবসর নিচ্ছেন না। বিশ্বকাপের পরেও হয়তো খেলবেন। শোনামাত্র লাহৌর থেকে পাক বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহরিয়র খান উত্তেজিত বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, বিশ্বকাপের পরেও খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একান্তই ওর। বোর্ড দ্বারা স্বীকৃত নয়।এশিয়া কাপের পাক পারফরম্যান্স খারাপ হলে হাফিজ অবধারিত বাদ যাবেন। আফ্রিদি— বাদ যাবেন না অধিনায়কত্ব থেকে। কিন্তু তার পর তাঁর ভবিষ্যৎ অন্ধকার এবং জন্মদিনে আরও মেঘলা হল।

পাকিস্তান ক্রিকেটের ইতিহাসে মাঠের বাইরে এমন আজব ঘটনার শেষ নেই। কিন্তু একটা টুর্নামেন্ট চলাকালীন এবং বিশ্বকাপ আসন্ন এমন অবস্থায় দেশের বোর্ড প্রধান দেশের অধিনায়ককে এমন অসৌজন্য দেখাচ্ছে, এটা অভূতপূর্ব!

ঢাকায় যা দেখছি, দল চালাচ্ছেন ওয়াকার আর ইন্তিখাব। আফ্রিদি পর্যবসিত নিছক মাঠের অধিনায়কে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ ইন্ডিয়া ম্যাচ ওই রকম বিশ্রী ভাবে হারা। কাল আমিরশাহির বিপক্ষে ১৭ রানে ৩ উইকেট চলে গিয়েছে দেখেও দল বাঁচাতে নিজে ব্যাট করতে না নামা।

আজ পাক অধিনায়ক ঠিক কত বছরে পা দিলেন তা নিয়ে যতই বিতর্ক থাক। একটা ব্যাপার নিয়ে বিতর্ক নেই— এই বুধবার থেকে রোববার শাহিদ আফ্রিদির চূড়ান্ত ক্রিকেটীয় কুণ্ডলী নির্ধারণ হবে।

কয়েক বছর আগেই জাতীয় দলে আফ্রিদির জায়গাটা চলে গিয়েছে। ও কবে কেমন খেলবে, কেউ জানে না। এ রকম প্লেয়ারের দলে থাকার কী মানে? এমন একজন টিমের ক্যাপ্টেন যে কয়েক বছর আগে নির্ভরযোগ্যতা হারিয়েছে। এর পরেও কী করে আশা করা হচ্ছে যে, টিম জিতবে বা উন্নতি করবে? জাভেদ মিয়াঁদাদ

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy