Advertisement
E-Paper

বোর্ড প্রধান চান, মাঠে ফিরুন হার্দিকরা

হার্দিক ও রাহুল—দু’জনকেই এই মুহূর্তে সাময়িক ভাবে নির্বাসনে পাঠিয়েছে বোর্ড।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:২৭
হার্দিকদের শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিশেষ সাধারণ সভা ডাকতে রাজি নয় বোর্ড।  —ফাইল চিত্র।

হার্দিকদের শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিশেষ সাধারণ সভা ডাকতে রাজি নয় বোর্ড। —ফাইল চিত্র।

হার্দিক পাণ্ড্য ও কে এল রাহুল বিতর্কে নতুন মোড়। টিভির অনুষ্ঠানে বিতর্কিত মন্তব্য করে অভিযুক্ত দুই তারকা ক্রিকেটারের শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিশেষ সাধারণ সভা ডাকতে রাজি নন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সি কে খন্না। তিনি জানিয়ে দিলেন, যে হেতু বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন, তাই ওম্বাডসমান নিয়োগের জন্য এই বিশেষ সভা তিনি ডাকবেন না।

হার্দিক ও রাহুল—দু’জনকেই এই মুহূর্তে সাময়িক ভাবে নির্বাসনে পাঠিয়েছে বোর্ড। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ) চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত ওম্বাডসমান এই দুই ক্রিকেটারের ভাগ্য নির্ধারণ করুন। কিন্তু বোর্ড অনুমোদিত ১৪টি রাজ্য সংস্থা খন্নাকে দশ দিনের মধ্যে বিশেষ সভা ডাকার অনুরোধ করেন। যাতে ওই সভায় একজন ওম্বাডসমান বেছে নিয়ে তাঁকে এই বিযয়টি বিচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই সংস্থাগুলির বেশির ভাগই প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ চৌধুরিও ব্যক্তিগত ভাবে বিশেষ সভার আর্জি জানিয়েছিলেন খন্নার কাছে। কিন্তু আইনি জটিলতা এড়াতে সেই রাস্তায় এগোননি তিনি। ওম্বাডসমান নিয়োগের বিষয়টি যেহেতু আদালতে বিচারাধীন, তাই তিনি অপেক্ষা করতে চান। অনিরুদ্ধ চৌধুরির চিঠির জবাবে খন্না পাল্টা লিখেছেন, ‘‘ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ওম্বাডসমান নিয়োগ করা যায় শুধুমাত্র বার্ষিক সাধারণ সভায়। তা ছাড়া ওম্বাডসমান নিয়োগের ব্যাপারটা আদালতে বিচারাধীন। তাই এখনই এই সভা ডাকার সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।’’

খন্না একই সঙ্গে বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত সচিব অমিতাভ চৌধুরীর মতামত জানতে চান বলে খবর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের এক কর্তা সংবাদ সংস্থাকে জানান, ‘‘ওম্বাডসমান নিয়োগের ব্যাপারটি যখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন, তখন খন্না বা অমিতাভ চৌধুরি কেন বিশেষ সাধারণ সভা ডেকে ঝুঁকি বাড়াতে যাবেন? এতে আদালত অবমাননাও হতে পারে। সে জন্যই ওঁরা পিছু হঠলেন।’’

তবে এরই মাঝে বোর্ডের একটা অংশ চাইছে, হার্দিক ও রাহুলের শাস্তি নিয়ে যতক্ষণ না কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ততক্ষণ এই দু’জনকে খেলতে দেওয়া হোক। বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিজেই সিওএ-র কাছে এই আবেদন করেছেন। তিনি তাঁর আবেদনে লিখেছেন, ‘‘হার্দিক বা রাহুল যা করেছে, তা ভুল। তা বলে ওদের অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক নয়। ওদের মন্তব্যের জন্য সাময়িক ভাবে নির্বাসিত করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝপথ থেকেও ফিরিয়ে আনা হয় ওদের। নিঃশর্ত ক্ষমাও চেয়েছে ওরা। এই দুই ক্রিকেটারকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হোক। ওদের শাস্তি দিতে গিয়ে যেন ওদের কেরিয়ার নষ্ট না করা হয়।’’

প্রসঙ্গত কয়েক দিন আগে সিওএ প্রধান বিনোদ রাইও একই বক্তব্য জানিয়েছিলেন। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, এই ব্যাপারে এত দিনে একই মেরুতে এসে দাঁড়ালেন সিওএ ও বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত শীর্ষকর্তারা। খন্না সিওএ-কে পাঠানো চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘বিশ্বকাপের চার মাস আগে ওদের ম্যাচ অনুশীলন দরকার। তাই হার্দিকদের বরং নিউজিল্যান্ড সফরে মাঠে ফিরতে দেওয়া হোক।’’

Cricket Cricketer Hardik Pandya BCCI KL Rahul
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy