কুয়াশা এবং ধোঁয়াশার দাপটে গত বুধবার ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ ভেস্তে যায়। টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন সূর্যকুমার যাদবেরা। চতুর্থ ম্যাচ না হওয়ায় শুক্রবার অহমদাবাদে জিততেই হবে ভারতকে। এই ম্যাচে হার মানে ২-২ ফলে সিরিজ় ড্র হবে। নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে পঞ্চম ম্যাচ হওয়া নিয়েও কিছুটা সংশয় রয়েছে আবহাওয়াজনিত কারণে।
লখনউয়ের ম্যাচ বাতিল হওয়ার পর ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম থেকে উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে কুয়াশা এবং ধোঁয়াশার দাপট শুরু হয়। বিমান এবং ট্রেন চলাচলেও প্রভাব পড়ে। একই কারণে গত বুধবার লখনউয়ের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে প্রয়োজনীয় দৃশ্যমানতার অভাবে ম্যাচ বাতিল করতে হয়। ছ’বার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর রাত ৯টা ৩০-এ ম্যাচ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আম্পায়ারেরা। একই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে অহমদাবাদের পঞ্চম ম্যাচ নিয়েও।
দূষণের প্রভাব রয়েছে অহমদাবাদেও। শুক্রবার সকালে অহমদাবাদের একিউআই ছিল ১৬০ থেকে ১৮০-র মধ্যে। বৃহস্পতিবারের চেয়ে বেড়েছে দূষণের মাত্রা। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা সন্ধে ৭টায়। তার আগে ৬টা ৩০-এ টস হওয়ার কথা। আবহাওয়া দফতর অবশ্য স্বস্তির খবর শুনিয়েছে। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, অহমদাবাদের বাতাসের মান স্বাস্থ্যকর নয়। তবে কুয়াশা বা ধোঁয়াশার দাপট থাকবে না। প্রায় স্বাভাবিক থাকবে দৃশ্যমানতা। ম্যাচ হতে কোনও সমস্যা হবে না।
আরও পড়ুন:
লখনউয়ের ম্যাচ বাতিল হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। বছরের এই সময় উত্তর ভারতের আবহাওয়া এবং দূষণের বিষয়টি জানার পরও কেন লখনউয়ে ম্যাচ রাখা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিসিসিআই কর্তারা লখনউয়ের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে ম্যাচ কেন্দ্র স্থির করতে চান। প্রয়োজনে বোর্ডের রোটেশন পদ্ধতি ভাঙা হবে।