পরীক্ষা: প্র্যাকটিসের ফাঁকে গলের পিচ দেখছেন কোহালি। এএফপি
টিম নিয়ে মঙ্গলবার সকালে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের যে অঙ্ক ছিল, তা বদলে গেল রাতে!
সকালে প্র্যাকটিস করতে এসে বিরাট কোহালিরা দেখে যান, পিচে ঘাস আছে। যা দেখে ভারত অধিনায়ক ইঙ্গিত দিয়ে যান, গল টেস্টে অভিষেক ঘটতে পারে হার্দিক পাণ্ড্যের। কিন্তু বিরাটরা টিম নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরে পিচের ঘাস উড়িয়ে দেওয়া হয়। সবুজ উড়ে গিয়ে পিচ হয়ে যায় ধূসর। যা শোনার পরে রাতে আবার ভারতীয় টিমের অঙ্ক বদলে যায়। চূড়ান্ত একাদশে ঢোকার লড়াইয়ে চলে আসেন রবীন্দ্র জাডেজা। রাত পর্যন্ত ভারতীয় শিবির থেকে যা খবর পাওয়া গেল, তাতে লড়াইটা এখন দাঁড়িয়ে হার্দিক বনাম জাডেজায়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আজ, বুধবার টেস্ট শুরুর আগে পিচ দেখে।
এমনিতেই গলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের টেস্ট রেকর্ড মোটেই ভাল নয়। এর আগে শেষ দু’টো সফরেই গলে হারতে হয়েছিল ভারতকে। দু’বছর আগে চতুর্থ দিনে ১৭৬ রান তাড়া করতে গিয়ে ১১২ রানে থেমে যায় বিরাট কোহালির দল। রঙ্গনা হেরাথ দ্বিতীয় ইনিংসে সাত উইকেট নিয়েছিলেন।
সেই হেরাথ এ বারও শ্রীলঙ্কার প্রধান অস্ত্র। এই টেস্টের অধিনায়কও। তা সত্ত্বেও কেন পিচে ঘাস আছে, এই নিয়ে ধন্দে পড়ে গিয়েছিল ভারত। রাতে তারা শোনে, পিচ থেকে ঘাস উধাও হয়ে গিয়েছে।
সকালে যখন কোহালি সাংবাদিক সম্মেলন করেন, তখন বারবার হার্দিকের কথা বলেছিলেন তিনি। ‘‘এ বার আমাদের টিমে হার্দিক পাণ্ড্য-র মতো এমন একজন বোলার রয়েছে যে যে কোনও পিচ থেকেই উইকেট তুলতে পারে। ও থাকলে দলের ভারসাম্য বাড়বে। বুধবার ওর খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।’’ এমনকী পিচ দেখে তখন কোহালি এও বলে যান, ‘‘পিচে বেশ ভালই ঘাস আছে। দু’দিন রোল করা হয়েছে। মনে হচ্ছে তো ভাল উইকেটই হবে।’’
রাতের দিকে অবশ্য এই পরিকল্পনা কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে পিচে ঘাস ছেঁটে ফেলা হয়েছে শোনার পরে। কিন্তু একটা ব্যাপারে কোহালি-রবি শাস্ত্রী জুটি একমত। সেটা হল, পাঁচ বোলারেই খেলতে হবে। উইকেট তোলার জন্য স্ট্রাইক বোলার দরকার টিমে। সে ক্ষেত্রে বাড়তি ব্যাটসম্যান নয়, এক জন অলরাউন্ডারকেই রাখতে হবে প্রথম এগারোয়। ব্যাটিংটা ভাল করেন বলে যে দৌড়ে আছেন জাডেজাও। আর. অশ্বিনের সঙ্গে দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে কুলদীপ যাদবই খুব সম্ভবত খেলছেন। যেমন ওপেনিংয়ে শিখর ধবনের সঙ্গে দেখা যাবে অভিনব মুকুন্দকে। কারণ জ্বরের জন্য প্রথম টেস্টে আগেই ছিটকে গিয়েছেন কে এল রাহুল।